প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ১১:১৩ এএম
ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বিতসেলেম জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আড়াই হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উত্তর গাজায় তীব্র দুর্ভিক্ষের মধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষ আটকে আছেন; সেখানেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে সংস্থাটির বরাত দিয়ে খবর আনাদোলুর।
সংস্থাটি বৃহস্পতিবার জিকিম ক্রসিং থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে জানায়, উত্তর গাজার জন্য সাহায্য পৌঁছানোর একমাত্র প্রবেশপথ ছিল এটি, যা ১২ সেপ্টেম্বর বন্ধ করে দেওয়া হয়। হতাশ লোকজন ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে খাদ্য সংগ্রহ করতে আসলেও সেখানে তাদের স্বাগত জানানো হয়েছে ইসরায়েলি গুলিতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ত্রাণের ট্রাক আসার সঙ্গে সঙ্গেই লোকজন ছুটে গেলে শুরু হয় গুলি। অসংখ্য মানুষ নিহত ও আহত হন। উদ্ধারকারীরা কাছেও যেতে পারেননি।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন আহমাদ আবু রুকবা।
তার ভাই তালাল জানান, দীর্ঘ অপেক্ষার পর তারা একটি আটা ভর্তি বস্তা সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। ফেরার পথে আবার গুলি শুরু হলে আহমাদের বুকে গুলি লাগে। তালাল নিজের জামা দিয়ে রক্ত থামানোর চেষ্টা করলেও মুহূর্তের মধ্যেই আহমাদ মারা যান।
বিতসেলেমের হিসাবে, মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণের জন্য আসা ২৫০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি গুলিতে নিহত এবং প্রায় সাড়ে ১৮ হাজারেরও বিশে মানুষ আহত হয়েছেন।
সংস্থাটি ইসরায়েলকে গাজায় চলমান গণহত্যার অংশ হিসেবে ‘দুর্ভিক্ষকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের’ অভিযোগ তুলেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৫০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর অধিকাংশই নারী ও শিশু। অব্যাহত বোমাবর্ষণে এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং তীব্র খাদ্যসংকট ও রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে।