প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
চাকসু নির্বাচন পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক একেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী।
জানা যায়, দুর্গাপুজা উপলক্ষে আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় চাকসু নির্বাচন প্রচার-প্রচারণায় খুবই কম সময় পাচ্ছিলেন প্রার্থীরা। সেই প্রেক্ষিতেই নির্বাচন পেছানোর দাবি জানান তারা। সেটিকে আমলে নিয়ে আজ এই সিদ্ধান্ত জানাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে এই নির্বাচনের সময় ছিল ১ অক্টোবর (রবিবার)। সেটিই পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর (বুধবার) করা হয়েছে। এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়।
তথ্যমতে, প্রায় তিন যুগ পর অনুষ্ঠেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের দিকেই সবার নজর ছিল। নির্বাচনহীনতার দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভাঙার আশা দেখছিলেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর অধিকাংশই চাই নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হোক।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছর পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে মাত্র ৬ বার। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দিকে, এবং ১৯৭০ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত নিয়মিতভাবেই ৩ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৮০ এবং ১৯৮১ সালে পরপর আবার দুইবার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সর্বশেষ অর্থাৎ ষষ্ঠ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় তিন যুগ আগে ১৯৯০ সালে। নির্বাচনের প্রায় ১১ মাস পর ছাত্রনেতা ফারুকুজ্জামান হত্যার শিকার হলে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকসু বন্ধ করে দেয়।
এরপর আর ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেখেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির কারণেই দীর্ঘ সময় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন অনেকে। তবে, জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনার পতনের পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরব ঢাবি, জাবি, রাবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।