পেছালো রাকসু নির্বাচনের তারিখ

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাকসু নির্বাচন কমিশনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান পরিস্থিতি কোনোভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূল নয়। কারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
 
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনকে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার স্বার্থে নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তে ১৬ অক্টোবর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
 
উল্লেখ্য, পোষ্য কোটা নিয়ে শিক্ষক–কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনার জেরে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি অংশ। ‘শিক্ষক-কর্মকর্তা লাঞ্ছনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে’ আজ দ্বিতীয় দিনের মতো এই কর্মসূচি চলে।
 
এর জের ধরে দুপুরে শাখা ছাত্রদলসহ পাঁচটি প্যানেল রাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে দাবি করে। অন্যদিকে ছাত্রশিবির ২৫ সেপ্টেম্বরেই নির্বাচনের দাবিতে অনড় থাকে। এ নিয়ে সন্ধ্যায় রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীদের দুটি পক্ষ।