প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। পরে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন। টানা ১৮ দিন চিকিৎসা শেষে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা। বিকেলে ছাড়পত্র নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের নুর এ কথা বলেন।
হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিক অবস্থার বিষয়ে নুর বলেন, ‘আমি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নই। আপাতত বাসায় যাব। এরপর অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নেব।’
সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তিনি বাসায় পৌঁছান বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ফলে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাকে আজ ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নুরের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত জানিয়েছে তার দল গণঅধিকার পরিষদ। দলটি জানিয়েছে, নুর ঢাকা মেডিকেল থেকে আপাতত বাসায় ফিরেছেন। তবে তার পুরোপুরি সুস্থ হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল তার নাকের অপারেশনের বিষয়ে জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু নুরুল হক নুরের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এখনই অপারেশন করতে পারলে ভালো হয় বলে জানিয়েছেন। এ জন্য আজ রাতে কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে অপারেশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর ডান পাশের মেগজিলায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। সেখানেও অবশ হয়ে আছে, সেখানেও একটা অপারেশন লাগবে।’
আবু হানিফ জানান, নুরের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আজ রাতে অন্য প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হবেন নুর। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদ ও জাপা নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় নুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে ঢামেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় এবং তাদের তত্ত্বাবধানে নুরুল হক নুরের চিকিৎসা চলতে থাকে।