প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ১১:০৭ পিএম
লোকসংগীতের বরেণ্যশিল্পী ফরিদা পারভীন মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে মারা গেছেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১। তিনি স্বামী এবং ৪ সন্তান রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। কিছুদিন ধরে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হয় তাকে। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে গত বুধবার অবস্থার অবনতি হয়। তারপর তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে তিনি সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন পরপারে।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায়। জীবনের ৫৫ বসন্ত গানে গানে কাটিয়েছেন তিনি। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। এরপর পার হতে হয় অনেক চড়াই-উতরাই। গানের প্রতি বাবার টান ছিল বেশি। দাদিও গান করতেন।
লালন সাঁইজির গানের বাণী ও সুরকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে ফরিদা পারভীনের অবদান সর্বজনস্বীকৃত। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বদরবারেও তিনি লালন সাঁইয়ের বাণী ও সুরকে প্রচারের কাজে নিয়েজিত ছিলেন। লালনসংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন।