প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ০৯:৫৫ এএম
আধুনিক কর্মক্ষেত্রে শুধু দক্ষ কর্মী হওয়াই যথেষ্ট নয়, বরং প্রয়োজন নেতৃত্বের গুণ অর্জন করা। বিশেষ করে তরুণ পেশাজীবীদের জন্য নেতৃত্ব একটি অপরিহার্য দক্ষতা। কারণ আজকের তরুণরাই আগামী দিনের টিম লিডার, ম্যানেজার এবং নীতিনির্ধারক। তবে নেতৃত্ব জন্মগত কোনো গুণ নয়; এটি গড়ে ওঠে অভিজ্ঞতা, শিক্ষা এবং সঠিক অভ্যাসের মাধ্যমে।
আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ববোধ
একজন নেতা প্রথমে নিজের উপর আস্থা রাখেন। তরুণ পেশাজীবীদের উচিত ছোট ছোট কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করা এবং ফলাফলের দায়ভার নেওয়া। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং নেতৃত্বের ভিত্তি তৈরি হবে।
যোগাযোগ দক্ষতা
সফল নেতৃত্বের মূলমন্ত্র হলো স্পষ্ট ও ইতিবাচক যোগাযোগ। তরুণরা যদি সহকর্মীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে শেখেন এবং মতামতকে সম্মান করেন, তবে টিমওয়ার্ক সহজ হবে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা
নেতৃত্ব মানে সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া নয়, বরং পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া। ভুল হলেও সেই ভুল থেকে শেখার মানসিকতা রাখতে হবে।
নৈতিকতা ও সততা
তরুণ পেশাজীবীরা যদি সততা বজায় রেখে কাজ করেন, তবে ধীরে ধীরে সহকর্মীদের আস্থা অর্জন করবেন। নৈতিকতা ছাড়া নেতৃত্ব স্থায়ী হয় না।
অন্যদের অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা
একজন ভালো নেতা কেবল নিজের লক্ষ্য পূরণ করেন না, বরং অন্যদেরও উদ্দীপিত করেন। তরুণদের উচিত টিমের সবার অর্জনকে গুরুত্ব দেওয়া এবং প্রয়োজনে সহকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো।
ইসলামের আলোকে নেতৃত্ব
রাসূল ﷺ বলেছেন: “তোমাদের প্রত্যেকেই নেতা, আর প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।” (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)। অর্থাৎ নেতৃত্ব মানে শুধু ক্ষমতা নয়, বরং দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা। তরুণদের নেতৃত্ব চর্চায় এই বোধ থাকা জরুরি।
তরুণ পেশাজীবীদের জন্য নেতৃত্বের গুণ অর্জন মানে ক্যারিয়ারে দ্রুত অগ্রগতি, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার।
তাই বলা যায়—আজকের তরুণরা যদি আত্মবিশ্বাস, সততা ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে নেতৃত্ব চর্চা শুরু করেন, তবে তারাই হয়ে উঠবেন আগামী দিনের পরিবর্তনের অগ্রদূত।