প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ১০:০৮ এএম
আধুনিক কর্মক্ষেত্রে শুধু কাজ জানাই যথেষ্ট নয়; কাজের পাশাপাশি যোগাযোগ দক্ষতা (Communication Skills) হলো সাফল্যের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। সহকর্মী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিংবা ক্লায়েন্ট—সবার সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে না পারলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়, কর্মপরিবেশে অস্বস্তি বাড়ে এবং ক্যারিয়ার গ্রোথ থেমে যায়। তাই প্রতিটি পেশাজীবীর জন্য যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন অপরিহার্য।
স্পষ্ট ও সহজ ভাষা ব্যবহার
যোগাযোগের মূল কথা হলো স্পষ্টতা। অপ্রয়োজনীয় জটিল শব্দ এড়িয়ে সহজভাবে কথা বলা বা লেখা সবচেয়ে কার্যকরী। এতে ভুল বোঝাবুঝি কমে এবং কাজ দ্রুত এগোয়।
সক্রিয়ভাবে শোনার অভ্যাস
শুধু কথা বললেই যোগাযোগ সম্পূর্ণ হয় না; বরং শোনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
- অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা
- নোট নেওয়া
- প্রয়োজনে প্রশ্ন করা
এসব অভ্যাস একজনকে ভালো শ্রোতা এবং দক্ষ কর্মী বানায়।
দেহভঙ্গি ও অভিব্যক্তি
কথার পাশাপাশি চোখের দৃষ্টি, হাতের ইশারা, হাসি কিংবা ভঙ্গিমাও অনেক কিছু বোঝায়। ইতিবাচক দেহভঙ্গি কর্মক্ষেত্রে আস্থা বাড়ায়।
প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার
আজকের অফিসে ই-মেইল, ভিডিও কনফারেন্স, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং—সবকিছুই যোগাযোগের মাধ্যম। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক বার্তা, দেরিতে উত্তর দেওয়া বা অনানুষ্ঠানিক ভঙ্গি ব্যবহার করলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই ডিজিটাল যোগাযোগেও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি।
প্রতিক্রিয়া দেওয়ার দক্ষতা
কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক বা গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেবল সমালোচনা নয়, বরং উৎসাহ ও সমাধানমূলক মন্তব্য দিতে শিখতে হবে।
ইসলামের আলোকে যোগাযোগ
ইসলামও সুন্দরভাবে কথা বলার উপর গুরুত্ব দিয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে: “মানুষের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলো।” (সূরা বাকারা: ৮৩)। রাসূল ﷺ-ও বলেছেন: “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।” (সহিহ বুখারি)।
যোগাযোগ দক্ষতা হলো কর্মক্ষেত্রের প্রাণ। এটি শুধু সম্পর্ক উন্নত করে না, বরং উৎপাদনশীলতা বাড়ায় এবং ক্যারিয়ার অগ্রগতির পথও খুলে দেয়।
তাই বলা যায়, যিনি ভালোভাবে শুনতে, বলতে ও প্রকাশ করতে পারেন, কর্মক্ষেত্রে তার সাফল্যের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।