প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
বিশ্বের চাকরির বাজার এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত বদলাচ্ছে। প্রযুক্তি, অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, গ্লোবাল অর্থনীতি এবং মহামারি-পরবর্তী বাস্তবতা মিলিয়ে কর্মক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যে কাজগুলো একসময় নিরাপদ ছিল, সেগুলো এখন মেশিন বা সফটওয়্যারের হাতে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন চাকরির ক্ষেত্র। এ অবস্থায় টিকে থাকার একমাত্র উপায় হলো—খাপ খাওয়ানোর কৌশল (Adaptability Skills)।
নতুন দক্ষতা অর্জন
পরিবর্তনশীল বাজারে সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো শেখার ক্ষমতা।
- অনলাইন কোর্স, সেমিনার ও ওয়ার্কশপের মাধ্যমে নতুন স্কিল অর্জন।
- ডেটা অ্যানালাইসিস, ডিজিটাল মার্কেটিং, সাইবার সিকিউরিটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—এসব দক্ষতা ভবিষ্যতের চাকরির বাজারে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে।
ফ্লেক্সিবল মানসিকতা
কর্মক্ষেত্রে পরিবর্তন মানেই সুযোগ। অনেক সময় চাকরির ক্ষেত্র বা দায়িত্ব বদলে যায়। এ অবস্থায় ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রেখে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া জরুরি।
নেটওয়ার্কিং ও সহযোগিতা
একাকী এগোনো এখন আর সম্ভব নয়। পরিবর্তনশীল কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক তৈরি ও সহযোগিতা করা অত্যন্ত জরুরি। নেটওয়ার্কিং শুধু চাকরির সুযোগই আনে না, বরং নতুন দক্ষতা শেখারও পথ খুলে দেয়।
আত্মবিশ্বাস ও মানসিক দৃঢ়তা
পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় চাকরি হারানো, নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া কিংবা নতুন প্রযুক্তি শেখা কঠিন হয়ে পড়ে। এ সময় আত্মবিশ্বাসই সবচেয়ে বড় শক্তি।
ইসলামের আলোকে পরিবর্তন মোকাবিলা
কুরআনে আল্লাহ বলেন: “নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে আছে স্বস্তি।” (সূরা ইনশিরাহ: ৬)। পরিবর্তনশীল বাস্তবতায় হতাশ না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। রাসূল ﷺ-ও শিখিয়েছেন, জীবনের প্রতিটি নতুন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিই সাফল্যের মূল।
পরিবর্তনশীল কর্মবাজার চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি নতুন সম্ভাবনাও তৈরি করছে। যারা নতুন কিছু শেখে, ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখে এবং দ্রুত মানিয়ে নিতে জানে, তারাই এগিয়ে থাকবে।
অতএব বলা যায়, পরিবর্তনকে ভয় নয়—বরং গ্রহণ করাই হলো ভবিষ্যতের সফল ক্যারিয়ারের মূল কৌশল।