প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম
আজকের প্রতিযোগিতামূলক কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের অন্যতম শর্ত হলো সময়ের সঠিক ব্যবহার। প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা সবার জন্য সমান, কিন্তু সফলরা সেই সময়কে ভিন্নভাবে কাজে লাগান। তারা জানেন—সময় নষ্ট মানেই সুযোগ হারানো। তাই টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যবস্থাপনা হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় দক্ষতা।
সময় ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব
- অল্প সময়ে বেশি কাজ শেষ করা সম্ভব হয়।
- কাজের চাপ কমে যায়, মানসিক প্রশান্তি বাড়ে।
- অগ্রাধিকারভিত্তিক কাজগুলো সম্পন্ন হয়।
- ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।
কম সময়ে বেশি কাজের কৌশল
- কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করা (Prioritization):
কোন কাজ জরুরি আর কোনটা অপেক্ষা করতে পারে, তা ঠিক করা। - টু-ডু লিস্ট ব্যবহার:
প্রতিদিন সকালে কাজের তালিকা লিখে শুরু করা। - পোমোডোরো টেকনিক:
২৫ মিনিট একটানা কাজ, এরপর ৫ মিনিট বিরতি—এভাবে মনোযোগ ধরে রাখা যায়। - ডিজিটাল বিভ্রান্তি এড়ানো:
অপ্রয়োজনীয় সোশ্যাল মিডিয়া বা মোবাইল ব্যবহার কমানো। - ডেলিগেশন:
সব কাজ একা না করে সহকর্মীদের মাঝে দায়িত্ব বণ্টন করা।
আধুনিক অফিসে প্রয়োগ
আজকের অফিসে সময় ব্যবস্থাপনা মানে শুধু সময়মতো আসা-যাওয়া নয়।
- ই-মেইল চেক করার নির্দিষ্ট সময় রাখা।
- বড় কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করা।
- প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (যেমন Trello, Asana, Notion) ব্যবহার করা।
ইসলামের আলোকে সময়ের মূল্য
কুরআনে আল্লাহ বলেছেন: “শপথ সময়ের, নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মধ্যে।” (সূরা আসর: ১-২)। সময়ের শপথ করে আল্লাহ এর গুরুত্ব বোঝিয়েছেন। আর রাসূল ﷺ বলেছেন: “দুটি নিয়ামত আছে, যা অনেকেই অবহেলা করে—সুস্থতা ও অবসর সময়।” (সহিহ বুখারি)।
টাইম ম্যানেজমেন্ট হলো সাফল্যের আসল চাবি। এটি শুধু কাজ শেষ করার কৌশল নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার হাতিয়ার।
তাই বলা যায়, যে সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে, সাফল্য তার হাত ধরেই আসে।