প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০২:০৩ পিএম
নেপালের ধনগধিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, কারফিউ জারি থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় দিনের মতো দেশটিতে ‘জেনারেশন জি’ আন্দোলন চলছে। অনেকেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগও দাবি করছেন।
কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারীরা শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে হামলা চালায়। ললিতপুরে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেল, নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের গভর্নর বিশ্ব পাউডেল এবং সদ্য পদত্যাগী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাসভবনে পাথর নিক্ষেপ করা হয়।
বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে। যদিও সোমবার রাতে চাপের মুখে সরকার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তবুও আগের দিন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৯ জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে আবারও আন্দোলন শুরু হয়।
শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ নয়, রাজনৈতিক পরিবারের বিলাসী জীবনযাপন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তরুণেরা।
বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, রাজধানী কাঠমান্ডুর কিছু অংশে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ বলবৎ থাকলেও আন্দোলনকারীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেউবাসহ বিভিন্ন নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী ওলির সরকার নতুন নীতিমালা না মানার অভিযোগে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, হোয়াটসঅ্যাপ ও এক্সসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়। তবে নিয়ম মেনে চলায় টিকটকসহ পাঁচটি অ্যাপ চালু থাকে।