শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের নতুন নেতৃত্বে রুনা লায়লা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৮:১৩ এএম

ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের নতুন নেতৃত্বে রুনা লায়লা

অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা রুনা ও রোকেয়া সুলতানা তামান্না। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা রুনা এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রোকেয়া সুলতানা তামান্না। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ সাত সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন করেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি

সভাপতি: অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা রুনা, সাধারণ সম্পাদক: রোকেয়া সুলতানা তামান্না, সিনিয়র সহসভাপতি: লাইলি বেগম, সহসভাপতি: নাজমা বেগম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক: তাহামিনা আফরিন নিতা, যুগ্ম সম্পাদক: আছিয়া ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক: তাহমিনা শাহীন

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদককেও সাইনিং পাওয়ার দেওয়া হয়েছে।

রুনা লায়লা: এক যোদ্ধা নারী নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি

অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা দীর্ঘদিন ধরে মহিলা দলের অঙ্গনে কাজ করছেন। ২০২২ সালের আহ্বায়ক কমিটিতে তিনি ছিলেন সদস্য সচিব। এর আগে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীর দৃঢ় পদচারণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি।

নিজের দায়িত্ব পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি দেশমাতা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান স্যারকে এবং মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস ভাবিকে। আবারো আমাকে উত্তরের গুরু দায়িত্ব অর্পণ করার জন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে আমাকে ঘিরে সবসময় এক ধরনের প্রত্যাশা ছিল। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে আমি মাঠে থেকেছি, সংগঠনের জন্য কাজ করেছি। সেই ত্যাগ ও পরিশ্রমের মূল্যায়ন করায় আমি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কৃতজ্ঞ।”

দায়িত্ব ও প্রত্যাশা

মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নতুন কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, রুনা লায়লার মতো অভিজ্ঞ ও ত্যাগী নেত্রী সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলে ঢাকা উত্তর মহিলা দল আরও ঐক্যবদ্ধ ও কর্মীবান্ধব সংগঠনে পরিণত হবে।

নারী নেতৃত্ব আজ শুধু রাজনীতির ক্ষেত্রেই নয়, গণতান্ত্রিক চর্চা ও দলীয় সংগঠনশক্তি বৃদ্ধির জন্যও অপরিহার্য। রুনা লায়লার দায়িত্বপ্রাপ্তি দেখিয়ে দিয়েছে যে দীর্ঘদিন মাঠে থেকে যারা সংগ্রাম করেছেন, তাদের মূল্যায়ন এখনও হয়। এটি আগামী দিনে মহিলা দলের নারীকর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে।

মাতৃভূমির খবর

Link copied!