প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
নেপালে চলমান ‘জেন জি’ আন্দোলনে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে নেপালের সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে জেন জি এ আন্দোলন শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে দেশটির রুপানদেহি ও সুনসারি জেলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বর এলাকায় সোমবার ‘জেন জি’ প্রজন্মের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর কারফিউ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সরকারি দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আয়োজিত এই বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
কাঠমান্ডুর প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছাবিলাল রিজাল স্থানীয় প্রশাসন আইন-এর ৬ ধারা অনুযায়ী দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করেন।
আদেশ অনুযায়ী, নিউ বানেশ্বর চৌক থেকে পশ্চিমে এভারেস্ট হোটেল ও বিজুলি বাজার আর্চ ব্রিজ পর্যন্ত, আর পূর্বে মিন ভবন ও শান্তিনগর হয়ে টিঙ্কুনে চৌক পর্যন্ত এলাকা কারফিউর আওতায় থাকবে।
এছাড়া নিউ বানেশ্বর চৌক থেকে উত্তরে আইপ্লেক্স মল হয়ে রত্ন রাজ্য সেকেন্ডারি স্কুল পর্যন্ত এবং দক্ষিণে শঙ্খমুল হয়ে শঙ্খমুল ব্রিজ পর্যন্ত এলাকাও কারফিউর মধ্যে পড়েছে। এই এলাকায় চলাফেরা, জমায়েত, বিক্ষোভ কিংবা অবরোধ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর কারফিউয়ের পরিধি বাড়িয়েছে কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন।
প্রথমে বানেশ্বরের কিছু এলাকায় সীমিতভাবে কারফিউ জারি করা হলেও বিক্ষোভকারীরা চলাচল নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করলে এই কারফিউ সম্প্রসারণ করা হয়। এখন প্রেসিডেন্টের বাসভবন শীতল নিবাস এলাকা, মহারাজগঞ্জ, লাইনচৌরে উপ-রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সিংহ দরবারের চারদিক, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বালুওয়াটার এবং আশপাশের সংবেদনশীল অঞ্চলেও কারফিউয়ের আওতায় এসেছে।