প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ১১:১৭ এএম
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার পর থেকে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করা শুরু করেছেন। তবে শিক্ষার্থীদের একাংশ প্রশাসনের এই নির্দেশ মেনে হল ছাড়লেও অপর অংশ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দেয়। সকালে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে মূল প্রবেশ ফটকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে।
নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে ইতোমধ্যে ব্যাগপত্র নিয়ে হল ছাড়তে দেখা গেছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রোববার রাতের সহিংসতা ও বহিরাগতদের হামলার পর থেকে তারা ভীত। পরিবারের চাপ, পাশাপাশি প্রশাসনের নানা ধরনের চাপের মুখে হল ছেড়ে যাচ্ছেন তারা। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষার্থীদের রুম সিলগালা করা হচ্ছে, এমনকি পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ জানায়, প্রশাসনের হঠাৎ রাতের নোটিশে হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত অন্যায়। তারা বলেন, ‘এভাবে চাপিয়ে দিয়ে ক্যাম্পাস খালি করার চেষ্টা আসলে নতুন স্বৈরাচারী আচরণের বহিঃপ্রকাশ।’
এর আগে রোববার রাতে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উত্থাপন করে হল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. একক (কম্বাইন্ড) ডিগ্রি চালু রাখা।
২. হামলার ঘটনায় পুরো প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগ।
৩. উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা।
৪. হামলায় জড়িত শিক্ষক ও বহিরাগতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটার নিশ্চয়তা।
প্রসঙ্গত, সমন্বিত ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনরত ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের ওপর রোববার রাতে বহিরাগতদের একটি দল হামলা চালায়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, আহত হন সাংবাদিকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ পরিস্থিতিতে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।