প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৫, ০৩:২৫ এএম
শাওয়ালের রোজা রাখার বিধান
শাওয়ালের ছয় রোজা রাখা নারী-পুরুষ সবার জন্য সুন্নত। অনেকে মনে করেন, শুধু নারীরা এ রোজা রাখবেন, তাদের ধারণা ঠিক নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে এই ছয় রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদের রাখার নির্দেশ দিতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত অনুসরণে এ রোজা রাখা উত্তম। তবে না রাখলেও কোনো অসুবিধে নেই। গুনাহ হবে না।
শাওয়ালের রোজা রাখার নিয়ম
শাওয়াল মাসের যেকোনো দিন এ রোজা রাখা যায়। তবে ঈদের দিন রোজা রাখা যাবে না। এ দিন রোজা রাখা হারাম। ঈদের পর দিন থেকেই রোজা রাখা যেতে পারে। একনাগাড়ে অথবা মাঝে ফাঁক রেখে পৃথকভাবেও রাখা যায়। মাসের মধ্যে ছয় রোজা রাখা হলেই এর সওয়াব পাওয়া যাবে। তবে ঈদুল ফিতরের পর শাওয়ালের প্রথম দিকে একসঙ্গে ছয়টি রোজা রাখাই উত্তম। অনেকে বলেন, মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাখা যেতে পারে। কারণ, মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজের রোজা। ওই সময়ে রাখলে আইয়ামে বিজের রোজারও সওয়াব পাওয়া যাবে। কেউ কেউ আবার মাসের শুরুর দিকে একনাগাড়ে ছয়টি রোজা রাখার কথা বলেছেন।
শাওয়ালের রোজার সওয়াব
রমজানের ৩০টি রোজা রাখার পর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখলে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়। আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, এরপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৪৮)
রমজানের ৩০টি রোজার সঙ্গে শাওয়ালের ৬টি রোজা যুক্ত হলে ৩৬টি রোজা হয়। ইসলামে প্রতিটি পুণ্যের জন্য ১০ গুণ পুরস্কারের কথা উল্লেখ আছে। ৩৬টি রোজার ১০ গুণ হলো ৩৬০টি রোজার সমান (এটি পুরস্কারের দিক থেকে), অর্থাৎ সারা বছর রোজার সমান সওয়াব হবে।
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘যে একটি সৎ কাজ করল, সে ১০ গুণ সওয়াব পাবে।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬০)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য, আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং, এই হলো এক বছরের রোজা।’ (সুনানে নাসায়ি, ২/১৬২)