প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আইন করা হয় দুর্নীতি থামানোর জন্য। কিন্তু এ দেশে আইন ও নীতি নির্ধারণের মাধ্যমেই দুর্নীতি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘নিরাপত্তা, দুর্নীতি ও জ্বালানি’ বিষয়ক সংলাপে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফাওজুল কবির বলেন, ‘জ্বালানি খাতে দুর্নীতির কাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ খাতে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন টাকার বকেয়া ছিল, যার অনেকটাই পরিশোধ করা হয়েছে। প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তেল আমদানির জন্য আগে রিফাইনারি মালিক হতে হতো, সেটি বাতিল করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছি।’
নবায়নযোগ্য জ্বালানির নীতি প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিষয়ে সন্তুষ্ট নই। অনেকেই চান দুর্নীতি থাকুক, যাতে সুবিধা নিতে পারেন। শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামানোর দিকেও নজর দিতে হবে। এ দেশে উন্নয়নের জন্য নয়, বরং দুর্নীতির জন্য অনেক প্রকল্প করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সিনিয়র গবেষণা ফেলো সাফকাত মুনির বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নিয়ে কোনো কমিশন গঠন করা হয় নাই। জাতীয় নিরাপত্তাকে সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করতে হবে। প্রথাগত ও অপ্রথাগত নিরাপত্তা নিয়ে আমাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদেরকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্রাকচার তৈরি করতে হবে। আগামী নির্বাচিত সরকারের উচিত জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে টাস্ক ফোর্স তৈরি করা। সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে আমরা তেমন আলোচনা করি না। এটিকে সামগ্রিক জাতীয় নিরাপত্তার লেন্সে দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচিত সরকারকে সাইবার সিকিউরিটির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। অপ্রথাগত নিরাপত্তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কোনো চিত্র আমাদের কাছে নেই। আগামী নির্বাচিত সরকারকে এর উপর নজর দিতে হবে। দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার আগে আমাদেরকে দেখতে হবে বেতন ভাতা বর্তমান সময়ে টিকে থাকার জন্য ঠিক আছে কি না। প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের নিরাপত্তা কীভাবে সুসংহত করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।’