প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
ইন্টার মায়ামি যেন লিওনেল মেসির বন্ধুদের আশ্রয়স্থল। লুইস সুয়ারেজ, জর্দি আলবা, সার্জিও বুসকেট– বার্সেলোনার এই বন্ধু গ্রুপটা মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবে যাওয়ার পর পরই সেখানে যায়। এখন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের মেসি-ঘনিষ্ঠরাও আবাস গাড়ছেন ইন্টার মায়ামিতে।
কদিন আগে অ্যাতলেটিকা মাদ্রিদ থেকে সেখানে গেছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে মেসির ‘বডিগার্ড’ হিসেবে পরিচিত রদ্রিগো ডি পল। এবার ক্লাবটি বিশ্বকাপ জয়ে মেসির সঙ্গী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের দিকে নজর দিয়েছে।
কানাডার ফুটবলভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ওয়েকিং দ্য রেড’ এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, এমি মার্টিনেজের সঙ্গে সম্ভাব্য ট্রান্সফার নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে ইন্টার মায়ামি। গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই মায়ামির এক নম্বর গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার শার্লট এফসিতে যোগ দিয়েছেন। তাই এমিকে দলে টানার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
মেসির সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণে হয়তো মার্টিনেজের প্রতি মায়ামির বাড়তি আগ্রহ। তাঁকে নেওয়ার জন্য মেসির মতামতও থাকতে পারে। তবে স্বীকার করতে হবে মার্টিনেজ বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। আর ড্রেকের ট্রান্সফারে মায়ামির হাতে মোটা অঙ্কের অর্থ এসেছে। সেটা দিয়ে সহজেই এমিকে কিনতে পারবে তারা।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আর্সেনাল থেকে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অ্যাস্টন ভিলার এক নম্বর গোলরক্ষক মার্টিনেজ। তিনি প্রিমিয়ার লিগে নিউক্যাসলের বিপক্ষে ভিলার মৌসুমের প্রথম ম্যাচে খেলেননি। এরপর থেকেই তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন আরও বাড়ে। অবশ্য কিছু দিন আগেই তাঁর দল ছাড়ার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল।
গত মৌসুমের শেষ ম্যাচে ভিলা পার্কে সমর্থকদের কাছ থেকে আবেগঘন বিদায়ের পর থেকেই গুঞ্জন ডালপালা মেলতে শুরু করেছিল। তখন শোনা গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেবেন মার্টিনেজ। ম্যানইউ বস রুবেন আমোরিমের সবুজ সংকেতের পরই নাকি ভিলা পার্ক থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে যাওয়া হয়নি। ম্যানইউ তাঁকে পাকাপাকিভাবে নয়, ধারে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। ভিলা সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।
ক্লাবটি মনে করেছিল, মার্টিনেজকে ধারে ছাড়লে তাদের জন্য লাভজনক হবে না; বরং তারা পাকাপাকিভাবে বিক্রি করলে বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি পাবে। তাদের চাওয়া ট্রান্সফার ফি ছিল ম্যানইউর পরিকল্পিত বাজেটের বাইরে। এর আগে সৌদি লিগের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মার্টিনেজ।
অ্যাস্টন ভিলা মার্টিনেজের জন্য ৪০ মিলিয়ন ইউরো চাচ্ছে। মায়ামি এই অর্থে তাঁকে নিতে পারবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। যদি তারা সফল হয়, তাহলে মায়ামিতে মেসি-রদ্রিগোর সঙ্গে পুনর্মিলন ঘটবে মার্টিনেজের।