প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
যে জাতি যত বেশি বই পড়ে, সে জাতি তত বেশি উন্নত হয়—এ সত্য অস্বীকার করার উপায় নেই। ইতিহাসের দিকে তাকালেই দেখা যায়, সফল মানুষদের জীবনে বই সবসময় ছিল অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। তাদের সাফল্যের পেছনে অন্যতম গোপন রহস্য হলো নিয়মিত পড়াশোনা ও বইপড়া।
জ্ঞানের ভাণ্ডার
বই হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার। সফলরা জানেন, প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা জরুরি। তাই তারা প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় পড়াশোনার জন্য নির্ধারণ করে রাখেন। কখনো গবেষণামূলক বই, কখনো জীবনী, আবার কখনো নতুন কোনো দক্ষতা অর্জনের বই।
আত্মোন্নয়ন ও দৃষ্টিভঙ্গি
বই মানুষকে ভেতর থেকে বদলে দেয়। একজন উদ্যোক্তা ব্যবসা বিষয়ক বই পড়ে নতুন আইডিয়া খুঁজে পান, একজন নেতা জীবনী পড়ে অনুপ্রেরণা পান, একজন ছাত্র পাঠ্যবইয়ের বাইরেও বই পড়ে বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেন। সফলরা জানেন, প্রতিটি বই মানুষের চিন্তাকে নতুন করে গড়ে তোলে।
সময়ের সঠিক ব্যবহার
অন্যরা যেখানে অবসর সময়ে শুধু বিনোদনে ডুবে থাকে, সফলরা সেই সময় বইয়ের পৃষ্ঠায় হারিয়ে যান। তারা সময়কে অপচয় হতে দেন না। অল্প অল্প করেও প্রতিদিনের পড়াশোনা তাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে।
সৃজনশীলতা ও নতুন ধারণা
বই নতুন চিন্তার দুয়ার খুলে দেয়। সফল মানুষরা বই থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজেদের কাজকে সৃজনশীল করে তোলেন। অনেক বড় আবিষ্কার, উদ্যোগ কিংবা পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে কোনো বইয়ের একটি আইডিয়া থেকে।
মানসিক প্রশান্তি
বই শুধু জ্ঞান দেয় না, মনকেও প্রশান্তি দেয়। দিনভর ব্যস্ততা শেষে বই হাতে নিলে মন শান্ত হয়, নতুন এনার্জি আসে। সফলরা জানেন, মানসিক প্রশান্তি ছাড়া টেকসই সাফল্য সম্ভব নয়।
সফল মানুষদের প্রতিদিনের সঙ্গী হলো বই। তারা জানেন, পড়াশোনা মানে কেবল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নয়; বরং এটি হলো আত্মোন্নয়নের পথ, নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জানালা এবং সাফল্যের চাবিকাঠি। তাই বলা যায়—যে বইকে সঙ্গী করে, সে-ই সাফল্যের পথে এগিয়ে যায়।