প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ১১:৪৯ পিএম
সফল মানুষদের গল্প সবসময় আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। তবে সেই গল্পের ভেতরে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো—তাদের শূন্য থেকে শুরু করে শিখরে ওঠার যাত্রা। কেউ জন্মগতভাবে সাফল্যের মালিক হন না; বরং অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম, আত্মশৃঙ্খলা ও সময়ের সঠিক ব্যবহারই তাদের জীবনে সাফল্যের দরজা খুলে দেয়।
শুরুর সংগ্রাম: অদম্য সাহসের পাঠ
বড় বড় উদ্যোক্তা, বিজ্ঞানী কিংবা নেতাদের ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল সাধারণ কিংবা কঠিন।
- কারও শৈশব কেটেছে দারিদ্র্যের মধ্যে।
- কেউ ব্যর্থতার পর ব্যর্থতা সয়ে অবশেষে দাঁড়াতে শিখেছেন।
- আবার কেউ সুযোগের অভাবে ছোট কাজ থেকে শুরু করেছেন।
তাদের সবার একটি মিল—তারা হাল ছাড়েননি।
শেখার অভ্যাস: সফলতার ভিত্তি
সফলদের ক্যারিয়ারে শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম।
- তারা শুধু আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় সীমাবদ্ধ থাকেন না; বরং সারাজীবন নতুন জ্ঞান অর্জন করেন।
- বই, অভিজ্ঞতা, মেন্টরশিপ এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের উন্নত করেন।
- প্রতিটি ব্যর্থতাকেই তারা নতুন শেখার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেন।
লক্ষ্য স্থির করা ও পরিকল্পনা
সফল মানুষরা জানেন—অস্পষ্ট স্বপ্ন কখনো বাস্তব হয় না। তাই তারা স্পষ্ট লক্ষ্য স্থির করেন এবং ধাপে ধাপে এগোনোর পরিকল্পনা নেন।
- ছোট লক্ষ্য পূরণ করেই বড় লক্ষ্যে পৌঁছান।
- সময়কে কাজে লাগাতে ক্যালেন্ডার, ডায়েরি ও টুলস ব্যবহার করেন।
- প্রতিটি সাফল্যের ধাপে আবার নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেন।
সামাজিক ও পারিবারিক সমর্থন
ক্যারিয়ারের পথে পরিবার ও সমাজের ভূমিকা অনেক বড়। সফলদের যাত্রায় পরিবারের ভালোবাসা, মেন্টরের দিকনির্দেশনা এবং সমাজের সহযোগিতা তাদের শক্তি জুগিয়েছে।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ
ইসলামে পরিশ্রম ও ধৈর্যকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কুরআনে আল্লাহ বলেন: “মানুষের জন্য শুধু তাই আছে, যা সে চেষ্টা করে।” (সূরা নাজম: ৩৯)। অর্থাৎ শূন্য থেকে শুরু করে যে ধৈর্য ধরে চেষ্টা করে, আল্লাহ তার পরিশ্রম বৃথা যেতে দেন না।
সফলদের ক্যারিয়ার পথ আমাদের শেখায়—সাফল্য হঠাৎ করে আসে না। প্রতিদিনের ছোট ছোট প্রচেষ্টা, আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে শূন্য থেকে শুরু করেও শিখরে ওঠা সম্ভব।
তাই বলা যায়, জন্ম নয়, বরং অবিরাম প্রচেষ্টা ও অধ্যবসায়ই মানুষকে শূন্য থেকে শিখরে পৌঁছে দেয়।