প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
নামাজের পূর্বশর্ত হলো অজু। অজু ছাড়া নামাজ পড়া যায় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাতের চাবি হচ্ছে নামাজ, আর নামাজের চাবি হচ্ছে অজু।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৪)
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাজের জন্য প্রস্তুত হও, তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করো এবং তোমাদের মাথা মাসেহ করো আর পাগুলো টাকনু পর্যন্ত ধৌত করো; যদি তোমরা অপবিত্র থাকো তবে বিশেষভাবে (গোসলের মাধ্যমে) পবিত্র হবে। তোমরা যদি পীড়িত হও বা সফরে থাকো অথবা তোমাদের কেউ শৌচস্থান থেকে আসো বা তোমরা স্ত্রীর সঙ্গে সংগত হও এবং পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে তথা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের কষ্ট দিতে চান না; বরং তিনি তোমাদের পবিত্র করতে চান ও তোমাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ পরিপূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৬)
অজুর ফরজ কাজ চারটি। তা হলো—
১. মুখমণ্ডল ধৌত করা।
২. উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করা।
৩. মাথা মাসেহ করা।
৪. এবং উভয় পা টাখনুসহ ধৌত করা।
নানা কারণে অজু নষ্ট হয়ে যায়। এখানে কারণগুলো উল্লেখ করা হলো—
* প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হলে। (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৬)
* শরীরের কোনো স্থান থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে। (মুসান্নাফে আব্দির রাজ্জাক : ৫৪৫, ৫৬০)
* মুখ থেকে রক্ত বের হলে, যদি রক্তের পরিমাণ থুতু থেকে অধিক অথবা সমান হয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/১২৫)
* মুখ ভরে বমি হলে। (খানা, পানি, জমাটবদ্ধ রক্ত, পিত্ত ইত্যাদি)। (তিরমিজি, হাদিস : ৮০, কিতাবুল আসার লি আবি ইউসুফ : ৩৪)
* ঘুমিয়ে পড়লে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৭৫)
* বেহুঁশ হয়ে গেলে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪৬)
* মাতাল হয়ে গেলে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭২)
* নেশাগ্রস্ত হলে। (প্রাগুক্ত)
* রুকু-সিজদার নামাজে প্রাপ্তবয়স্ক লোক জাগ্রত অবস্থায় অট্টহাসি দিলে। (সহিহ বুখারি : ১৬/৩১৫)