প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ০৯:৪২ এএম
আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়া যেন বাঙালি জাতির প্রতি তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ায় জন্ম নেওয়া দুখু মিয়া পরবর্তীতে হয়ে উঠেছিলেন বাংলা ভাষা-সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি। শুধু কবিতা নয়, সংগীত, নাটক, গল্প, প্রবন্ধ, সাংবাদিকতা- সবক্ষেত্রেই রেখেছেন অনন্য স্বাক্ষর। তার লেখা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে বারবার। মুক্তিযুদ্ধেও নজরুল ছিলেন এক অদৃশ্য প্রেরণার মশাল।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পক্ষ থেকে তাকে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয়। তাকে দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা। একুশে পদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি তার প্রাপ্ত সম্মানের অংশমাত্র।
কবির প্রয়াণ দিবসে আজ সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কবির সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা ও দোয়া মাহফিলের পাশাপাশি থাকছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন।