প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ১০:৫২ এএম
একের পর এক বিপদের মুখে ভারত। একদিকে পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্কারোপ, এই দুই পরিস্থিতি মিলে দেশটিকে জটিল অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ভারতের অর্থনীতি চরম সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নতুন ঘোষণা আসায় ভারতের জন্য পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও দুর্বিষহ। এতে একপ্রকার দিশেহারা পরিস্থিতির মুখোমুখি দেশটি।
ভারত এবং ভারতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের উড়োজাহাজ ও এয়ারক্রাফটের জন্য নিজেদের আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়িয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক নোটিশে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পাকিস্তান এয়ারপোর্ট অথরিটি (পিএএ)। খবর সংবাদ মাধ্যম ফার্স্টপোস্টের।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলার জের ধরে সিন্ধু নদী পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করে ভারত। এর প্রতিক্রিয়ায়, ২৪ এপ্রিল সব ধরনের ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পাকিস্তান। দফায় দফায় এর মেয়াদ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান। যার ফলে ভারতের অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের রুট দীর্ঘতর হয়েছে। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে ভারতীয় উড়োজাহাজগুলোর। যেখানে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত খরচ।
এদিকে ভারতের ওপর নতুন বিপদের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগস্ট মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে শাস্তিামূলক ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এর আগে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক ছিল যার ফলে সব মিলিয়ে ভারতের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও ভারতকে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এতে স্বাভাবিবভাবেই যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে চীনমুখী হতে যাচ্ছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক শত্রু চীনকে বন্ধু বানানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে নয়াদিল্লি। চীন কতটা সাড়া দেবে তা এখনো অজানা। এদিকে ইতিহাস বলছে, বিশ্ব বাণিজ্য বলছে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের লড়াইয়ের কথা। এছাড়া সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্বের পাশাপাশি ভারতকে এশীয় অঞ্চলের বাণিজ্য প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে চীন। এখন প্রশ্ন হলো, সেই চীনের দিকেই ভারতকে ঠেলে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কোনো চাল নয় তো?