প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় আরও অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নয়জন ছিলেন খাদ্যসাহায্য নিতে আসা সাধারণ মানুষ। অনাহারে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় হামলায় হতাহতের খবর-
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ড্রোন হামলায় একই পরিবারের পাঁচজন নিহত।
মধ্য গাজার সালাহউদ্দিন সড়কে খাদ্যসাহায্য বিতরণকেন্দ্রের কাছে গোলাবর্ষণে নিহত পাঁচজন।
নেজারিম করিডোরের কাছে সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা এক ব্যক্তির মৃত্যু।
আল-তুফাহ এলাকায় ড্রোন হামলায় নিহত ২, আহত বহুজন।
সাবরা এলাকায় ড্রোন হামলায় নিহত ৪; একই এলাকার এক বাড়িতে শিশুসহ নিহত ৮।
আল-শান্তি এলাকায় এক পরিবারের বাড়িতে নিহত ৪।
উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ড্রোন হামলায় নিহত ৪।
আল-ইস্তিজাবা মসজিদের কাছে বিমান হামলায় নিহত ৩।
আল-নাজলা এলাকায় ড্রোন হামলায় নিহত ২।
শেখ রাদওয়ান এলাকায় এক অ্যাপার্টমেন্টে নিহত ১, আহত কয়েকজন।
একই এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষের একটি তাবুতে গোলাবর্ষণে নিহত এক শিশু।
দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে খাদ্যসাহায্যের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর হামলায় নিহত ৩।
মধ্য গাজার ওয়াদি গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর হামলায় নিহত ৭, আহত অন্তত ১৮।
অনাহারে মৃত্যু বাড়ছে
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও পুষ্টিহীনতায় আরও দুজন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অনাহারজনিত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭১ জনে, যার মধ্যে ১১২ জন শিশু।
মোট প্রাণহানি ও আন্তর্জাতিক বিচার
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ১০০ জনের বেশি। হামলার পাশাপাশি দুর্ভিক্ষে বিপর্যস্ত এ অঞ্চল।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।