শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবেন: এ্যানি

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৭:০২ পিএম

তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবেন: এ্যানি

রাজনীতিতে গুণগত যে পরিবর্তন, তারেক রহমানের বক্তব্যে বোঝা যায়। তারেক রহমান যে কথাগুলো বলতেছেন, এ কথাগুলার মধ্যে দিয়ে জিয়াউর রহমান জীবনদর্শায় যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, আজকে তারেক রহমান সে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায়  বিএনপি'র কাউন্সিলর প্রতিনিধি নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এসব কথা বলেন।

বিএনপির জাতীয় নেতৃত্বে তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে। তার কাছ থেকে আমরা সাহস, মনোবল ও হিম্মত পাই। এ কারণেই আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আসন্ন নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সেই সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন বিএনপি।

এসময় এ্যানি আরও বলেন, ক্ষমতায় এলে বিএনপি প্রথম এক বছরের মধ্যেই কর্মসংস্থান সৃষ্টির মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। তিনি উল্লেখ করেন, একদলীয় শাসন ও কর্তৃত্ববাদী রাজনীতির পরিবর্তে বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় রচনা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তারেক রহমান পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়া জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বলেই আজ আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র নিয়ে গর্ব করতে পারি। সেই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া এবং বর্তমানে তারেক রহমান দেশের মানুষের পাশে আছেন। বিএনপি কখনো গণমানুষের দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি। ষড়যন্ত্র চলছে, তবে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দলটি কখনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে পারেনি। বরং তারা ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে দেশ চালিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা গত ১৭ বছর ধরে গুম, খুন ও নির্যাতনের রাজনীতি চালিয়ে দেশ শাসন করেছেন। সবশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে তিনি পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমাদেরকে কঠিন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৫ তারিখ যদি না হতো, হাসিনা যদি এখনো থাকতো, আমি আপনি স্বাভাবিকভাবে এখানে থাকতে পারতাম না। জীবন-যাপন করতে পারতাম না। মিছিল-মিটিং করতে পারতাম না, বসবাস করতে পারতাম না। পালিয়েছিলাম, জেলে ছিলাম, আমাদের নেতাকর্মী গুমের শিকার হয়েছে, খুনের শিকার হয়েছে। ঢাকাতে আমাদের অনেক ছাত্রকে, সাধারণ মানুষকে, আমাদের কর্মীকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যা করেও সে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে। কিন্তু আল্লাহতালা তাকে ক্ষমতায় রাখে নাই। আমাদের চেষ্টা ছিল ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ফ্যাসিস্ট চলে গেছে, ফ্যাসিস্ট দূর হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশটাকে আমাদের নতুন করে গড়তে হবে। স্বাধীনতার পরে যারা ক্ষমতায় ছিল, ফ্যাসিস্ট রাজনীতি তাদের মধ্যে ছিল। এরা তখন দুর্বৃত্ত দিয়েছিল। স্বাধীনতার পর এরা দুঃশাসন তৈরি করেছিল। ৫ আগস্টের আগে ১৭ বছরের রাজনীতি, ৫ আগস্টের পরে এখনকার যে রাজনীতি এমন একটা পরিবর্তন, এটা চিন্তার ব্যাপার।

তারেক রহমান যখন দেখলেন ২০১৪ সালে এক দলীয় ভোট হয়েছে, এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ভোট হয়েছে। একদল শুধু ভোট করেছে, আর কেউ ভোট করে নাই। তারেক রহমান যখন দেখলেন ২০১৮ সালে রাতের অন্ধকারে ভোট হয়েছে, জাতি হতাশ, তখন তারেক রহমান আবার চিন্তা করলেন একদলীয় শাসন চলতে পারে না, এক ব্যক্তি শাসন করতে পারে না। শাসকের পরিবর্তন আনতে হবে। তখন তিনি প্রথমে ২৭ দফা, পরবর্তীতে ৩১ দফা দিয়েছেন। এই যে সবাইকে একত্রিত করা, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা, সকল রাজনৈতিক দলের ফ্যাসিবাদ এর বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, বিএলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এল রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য ভিপি আবদুর রহিম, রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মজু, যুগ্ম আহ্বায়ক জিএস মনোয়ার হোসেন, সাবেক উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন তুর্কি, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মিন্টু, এজিএস আবুল কাশেম, সদস্য আবুল বাশার প্রমুখ।

মাতৃভূমির খবর

Link copied!