প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০২:১৭ পিএম
বিশ্বের নামী সংবাদপত্রগুলো সাম্প্রতিক সময়ের বড় রাজনৈতিক ও মানবিক সংকটগুলো নিয়ে শক্তিশালী সম্পাদকীয় প্রকাশ করছে। এসব সম্পাদকীয় কেবল সাংবাদিকতার অংশ নয়, বরং আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণ, কূটনৈতিক আলোচনায় প্রভাব বিস্তার এবং সাধারণ মানুষের চেতনাকে নাড়া দেওয়ার মতো শক্তি রাখে। এরই অংশ হিসেবে ব্রিটেনভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সংবাদপত্র The Guardian সম্প্রতি গাজা–ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে।
সম্পাদকীয়র শিরোনাম
“The Guardian view on Gaza’s future: Israel should end the killing. Its allies must not remain complicit” তারিখ: ২০ আগস্ট ২০২৫
এই সম্পাদকীয়তে ইসরায়েলের গাজা অভিযানে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। গাজার ভেতরে ক্রমবর্ধমান হত্যাযজ্ঞ, বেসামরিক মানুষের দুর্দশা এবং মানবিক বিপর্যয়কে বিশ্ব বিবেকের জন্য অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করেছে The Guardian।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে— সহিংসতা ও হতাশার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বদলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা, নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধ করা এবং গাজায় অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার মাধ্যমে সংকট প্রশমিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলোকে এই রক্তপাতের অংশীদার না হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
The Guardian দীর্ঘদিন ধরেই মানবাধিকার ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের প্রশ্নে সোচ্চার। গাজা–ইসরায়েল সংকটের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে তাদের সম্পাদকীয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য প্রভাবশালী গণমাধ্যমও যখন একই ধরনের সম্পাদকীয় প্রকাশ করছে, তখন বোঝা যাচ্ছে— বৈশ্বিক গণমাধ্যমের চাপ রাজনীতিবিদ ও বিশ্বনেতাদের নীতিগত অবস্থান প্রভাবিত করতে পারে।
আমাদের মতো দেশের সাধারণ মানুষ ও পাঠকের জন্য এ ধরনের সম্পাদকীয় একদিকে আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ বোঝার পথ খুলে দেয়, অন্যদিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্বরাজনীতিকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। গণমাধ্যমের শক্তি কেবল তথ্য দেওয়ায় সীমাবদ্ধ নয়— বরং তা বৈশ্বিক জনমত তৈরি ও নীতি নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।