প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ১০:৩০ এএম
কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা বড় ধরনের আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্বজনদের দাবি, দায়িত্বে থাকা দুই নার্সের গাফিলতিতে স্বপ্না আক্তার (২০) নামে এক তরুণী মায়ের জীবন ঝরে গেছে।
চিৎপুর গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার গত ২৮ জুলাই রাত দেড়টার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। দায়িত্বে থাকা নার্স নাছরিন আক্তার ও লিলি আক্তার অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। তবে স্বজনরা রাজি না হয়ে অন্যত্র নেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁরা বাধা দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
পরদিন ২৯ জুলাই সকাল ছয়টার দিকে জোরপূর্বক স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়। এতে জরায়ু ছিঁড়ে গিয়ে মারাত্মক রক্তক্ষরণ শুরু হয়। দ্রুত তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে টানা ২৩ দিন আইসিইউতে থাকার পর গত বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর মৃতার ননদ আকলিমা আক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) আবদুস সালাম শিকদারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এ বিষয়ে আবদুস সালাম শিকদার বলেন, অভিযোগ জেলা সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে এবং তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই নার্সের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নার্স নাছরিন আক্তার ও লিলি আক্তার জানান, স্বাভাবিক প্রসব চলাকালে হঠাৎ রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটে। এখানে অবহেলার কোনো বিষয় নেই।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।