রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ফাতেমা বেগম (৪৫) নামের গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ছেলে মোঃ হিমেল (২৫), মেয়ে সিমিকা, পুত্র বধু জান্নাতসহ ৪ জনকে আটক করেছেন। এবং লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা মর্গে প্রেরন করেন। ঘটনাটি ঘটে আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের হাপানিয়া বেপারি বাড়িতে। নিহত ফাতেমা বেগমের স্বামী লিটন মিয়া(৫৫)। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। ফাতেমা বেগম সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত ১০টায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। এ ব্যাপারে পাশ^বর্তি চাটখিল উপজেলাধিন মধ্য বদলকোট চৌধুরি পাইকের বাড়ির নিহত ফাতেমা বেগমের বড় ভাই ইসমাইল হোসেন রামগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেন।
নিহত ফাতেমা বেগমের ভাই ইসমাইল হোসেন, ভাবী জান্নাতুল ফেরদাউস ও স্থানীয় ইউছুফ মিয়া জানান, ফাতেমা বেগম দীর্ঘদিন যাবত স্বামী, ছেলেসহ ঢাকার সূত্রাপুর থানাধীন পুরান ঢাকার কলতাবাজার এলাকায় বসবাস করে আসছেন। তিন বছর আগে তার ছেলে হিমেল বিয়ে করে। এরপর থেকে পুত্রবধুকে নিয়ে স্বামী ও ছেলের সাথে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্বামী ছেলেসহ ফাতেমা বেগমকে কয়েকবার মারধরও করেন। সোমবার (১৮আগস্ট) রাতে ফাতেমা বেগমকে ছেলে, তার স্বামী, পুত্রবধুসহ ব্যাপক মারধর করেন। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ৯টা সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত ১০টার সে মারা যান। পরে তারা কৌশলে লাশ রামগঞ্জে নিজ বাড়িতে এনে তড়িগড়ি দাফন করার চেষ্টাকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও ৪ জনকে আটক করে। এ ব্যাপারে ফাতেমা বেগমের স্বামী পলাতক থাকায় এবং আত্নীয় স্বজন কেউ কথা বলতে রাজি না হওয়ায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রামগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারি জানান, নিহত ফাতেমা বেগমের ভাই ইসমাইল হোসেনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক এবং লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ঢাকার সুত্রাপুর থানাধিন হওয়ায় আটককৃতদেরকে সেই থানায় প্রেরন করা হবে।
মাতৃভূমির খবর