প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
নির্বাচনের পরে সরকারে থাকার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জাতির যে আকাঙ্ক্ষা, তা নিশ্চিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন— এই তিনটি বিষয় প্রাধান্যের তালিকায় সবার আগে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেল সিএনএকে (নিউজ এশিয়া টেলিভিশন) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশে আবারও পুরোনো সমস্যাগুলো ফিরে আসবে। তার সরকার বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিলো, সেগুলো অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছেছে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন ও সংস্কার কোনটি আগে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি আমরা নির্বাচন দিয়ে শুরু করি তাহলে আমাদের সংস্কারের এবং বিচারের প্রয়োজন নেই। কারণ আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন হলে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। তাহলে সবকিছু নির্বাচিতদের হাতে চলে যাবে। অন্য দুটি কাজ না করে শুধু নির্বাচন হলে ফের সেই পুরোনো সমস্যায় ফিরে যাওয়াটাই স্বাভাবিক গন্তব্য হবে, যা ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন ঘটাবে। কারণ সেই পদ্ধতি কোনো আইনের শাসন তৈরি করতে কাজ করবে না।
ড. ইউনূস তার সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক পররাষ্ট্রনীতি ইস্যুতেও কথা বলেন। পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করার পাশাপাশি জানান, ভারতের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় বাংলাদেশ। নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ‘সেভেন সিস্টার্স’ এলাকাকে সামগ্রিকভাবে ভালো একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বানানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
