প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
নিশ্চিত পরাজয় জেনেই ছাত্রদল ভোট বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিবিরের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে ছাত্রদল ও যুবদলের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা অবস্থান করছে। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই আশঙ্কার বিষয়। যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে। আমি আশা করব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
শিবিরের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ আরও বলেন, আমরা দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে প্রমাণসহ দেখিয়েছি ভোট গণণার মেশিন যে প্রতিষ্ঠান থেকে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে সেটি বিএনপির একজন ব্যক্তি ওনার প্রতিষ্ঠান।
এদিকে ছাত্রশিবিরের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, কে ভোট বর্জন করবে কে করবে না সেটা তাদের বিষয়। শিক্ষার্থীদের কাছে হেরে যাওয়ার ভয়ে যদি কেউ ভোট বর্জন করে, তাতে কিছু করার নেই। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যতগুলো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোতে ছাত্রদলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার কিছু আগে মাওলানা ভাসানী হলের গেস্টরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী।
এর কিছুক্ষণ পর অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক।
উল্লেখ্য, সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলার কথা। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৭৪৭ জন। বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে একজন ভোটারকে সর্বমোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দিতে হচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক মিলিয়ে মোট ৮টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত পূর্ণাঙ্গ প্যানেল, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, বাগছাসের ‘সম্মিলিত ঐক্য ফোরাম’, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দুই অংশের পৃথক প্যানেল ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ ও ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, এছাড়া আরও তিনটি স্বতন্ত্র প্যানেল।