প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০৯:০৭ এএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি ফটক এবং পুরো ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ২০০ পুলিশ সদস্য (পোশাক ও সাদা পোশাকে) মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ভোটকেন্দ্র ও আবাসিক হলে দায়িত্ব পালন করবে। নিরাপত্তার সার্বিক তদারকিতে থাকবেন দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করবে এবং প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কার্যক্রমে অংশ নেবে।
এবারের নির্বাচনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোট হবে—যার মধ্যে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং অফিসার এবং সমান সংখ্যক সহকারী পোলিং অফিসার।
ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেবেন। বিশেষ ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা হবে। সিনেট হলে বড় স্ক্রিনে ভোট পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং প্রতি ঘণ্টায় ফলাফল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও জনসংযোগ দপ্তরের ফেসবুক পেজে ভিডিও নির্দেশনা প্রকাশ করা হবে।
এই নির্বাচনে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।