প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
শিশুর বেড়ে ওঠার পথে সবচেয়ে বড় সহযোগী হলো তার পরিবার। বিশেষ করে অভিভাবকরা সন্তানের পড়াশোনা, মানসিক বিকাশ এবং নৈতিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে অনেক সময় অভিভাবকরা সঠিকভাবে সন্তানের পাশে দাঁড়াতে পারেন না। অথচ সামান্য সচেতনতা ও কিছু সঠিক পদক্ষেপ সন্তানের ভবিষ্যৎকে ইতিবাচকভাবে গড়ে তুলতে পারে।
পড়াশোনায় সহায়তা
১। নিয়মিত রুটিন তৈরি: পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট সময় ও পরিবেশ নিশ্চিত করা।
২। প্রশ্ন করতে উৎসাহ দেওয়া: সন্তানের প্রশ্নকে বিরক্তি নয়, বরং শেখার সুযোগ হিসেবে দেখা।
৩। অতিরিক্ত চাপ নয়: ফলাফলের চাপে না ফেলে শেখার আনন্দ বাড়ানো।
৪। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার: অনলাইন রিসোর্স, শিক্ষামূলক অ্যাপ বা ভিডিও ব্যবহার করে শেখার অভ্যাস গড়ে তোলা।
মানসিক সহায়তা
১। শ্রবণশীল হওয়া: সন্তান যখন কথা বলে, মনোযোগ দিয়ে শোনা।
২। সাফল্য ও ব্যর্থতা গ্রহণ: ভালো করলে প্রশংসা, ব্যর্থ হলে সমর্থন ও উৎসাহ দেওয়া।
৩। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: পরীক্ষার সময় সন্তানকে মানসিকভাবে শান্ত থাকতে সাহায্য করা।
৪। সময় দেওয়া: ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিদিন কিছুটা সময় সন্তানের সঙ্গে কাটানো।
সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষা
১। আচরণের অনুশীলন: অভিভাবক নিজের আচরণের মাধ্যমে সন্তানকে শিষ্টাচার শেখান।
২। সহানুভূতি শেখানো: পরিবারে ও সমাজে অন্যের প্রতি দায়িত্ববোধ তৈরি করা।
৩। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা: ছোট থেকেই সত্যবাদিতা, সততা, শৃঙ্খলা ইত্যাদি মূল্যবোধ গড়ে তোলা।
ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় সহায়তা
১। রুচি ও দক্ষতা চিনে নেওয়া: সন্তান কোন বিষয়ে আগ্রহী তা বোঝা।
২। সঠিক গাইডলাইন: পড়াশোনার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণে দিকনির্দেশনা দেওয়া।
৩। উদাহরণ দেওয়া: সফল মানুষের গল্প বা অভিজ্ঞতা শোনানো।
অভিভাবকরা যদি সন্তানকে সময়, মনোযোগ ও ভালোবাসা দিয়ে সহায়তা করেন, তবে সন্তান শুধু পড়াশোনায় নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। সন্তানের জন্য সেরা উপহার হলো অভিভাবকের ইতিবাচক মনোভাব, ধৈর্য ও সঠিক দিকনির্দেশনা।