প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
বিদেশে পড়াশোনা করতে গেলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আর্থিক ব্যয়। টিউশন ফি, থাকা-খাওয়া, স্বাস্থ্যবিমা, বইপত্র ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অনেক সময় পরিবারের সাধ্যের বাইরে চলে যায়। কিন্তু সুখবর হলো—বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতি বছর অসংখ্য স্কলারশিপ ও ফান্ডিং সুযোগ দিয়ে থাকে। সঠিক তথ্য জানলে এবং সঠিকভাবে আবেদন করলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও সহজেই এসব সুবিধা নিতে পারে।
সরকারি স্কলারশিপ
১। Chevening Scholarship (UK): ব্রিটিশ সরকারের স্কলারশিপ, এক বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য। সম্পূর্ণ ফান্ডেড—টিউশন ফি, ভিসা, বিমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার খরচ অন্তর্ভুক্ত।
২। Fulbright Scholarship (USA): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ফান্ডেড, মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য।
৩। Australian Awards Scholarship: অস্ট্রেলিয়া সরকারের স্কলারশিপ, স্নাতকোত্তর ও গবেষণার জন্য।
৪। Erasmus Mundus (EU): ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যৌথ স্কলারশিপ, একাধিক দেশে পড়াশোনার সুযোগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক স্কলারশিপ
১। Oxford University (UK): Rhodes Scholarship, Clarendon Scholarship।
২। Harvard, MIT, Stanford (USA): Need-based financial aid এবং merit scholarships।
৩। University of Toronto, McGill (Canada): Lester B. Pearson International Scholarship, Vanier CGS।
৪। University of Melbourne, ANU (Australia): Melbourne Graduate Scholarship, ANU Global Diversity Scholarship।
৫। Malaysian International Scholarship (MIS): মালয়েশিয়া সরকারের বৃত্তি, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য।
বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা
১। World Bank Scholarship Program (JAPAN/JSP): উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য।
২। Asian Development Bank (ADB-Japan Scholarship): এশীয় শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স প্রোগ্রাম।
৩। Islamic Development Bank (IDB Scholarship): মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতক থেকে পিএইচডি পর্যন্ত।
ফান্ডিং ও পার্ট-টাইম জব
১। বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট-টাইম কাজ করতে পারে। যুক্তরাজ্যে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় সপ্তাহে ২০–২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি আছে।
২। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থাকে Graduate Assistantship, Teaching Assistantship ও Research Assistantship, যেখান থেকে বেতনসহ পড়াশোনার সুযোগ মেলে।
৩। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা Tuition Waiver বা আংশিক ছাড়ও পেয়ে থাকে।
আবেদন প্রক্রিয়া
১। সময়মতো প্রস্তুতি: স্কলারশিপের জন্য আবেদন সাধারণত ভর্তির সঙ্গে সঙ্গেই করতে হয়।
২। ডকুমেন্ট: সিভি, মোটিভেশন লেটার, রেফারেন্স লেটার, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও ইংরেজি দক্ষতার সার্টিফিকেট।
৩। কৌশল: কেন আপনি উপযুক্ত প্রার্থী—সেটি আবেদনপত্রে শক্তভাবে তুলে ধরা জরুরি।
স্কলারশিপ ও ফান্ডিং শুধু বিদেশে পড়াশোনার আর্থিক চাপ কমায় না, বরং শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ারেও মর্যাদা যোগ করে। সঠিক তথ্য সংগ্রহ, সময়মতো প্রস্তুতি এবং আত্মবিশ্বাসী আবেদন—এই তিনটি বিষয় মেনে চলতে পারলে বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন আর অধরাই থাকে না।