শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

সরকারি চাকরি বনাম বেসরকারি চাকরি, কোন পথে যাবে শিক্ষার্থীরা?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম

সরকারি চাকরি বনাম বেসরকারি চাকরি, কোন পথে যাবে শিক্ষার্থীরা?

ছবি: মাতৃভূমির খবর ডিজিটাল

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার নিয়ে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্নগুলোর একটি হলো—সরকারি চাকরি নাকি বেসরকারি চাকরি। সমাজ, পরিবার এবং ব্যক্তিগত স্বপ্ন মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা বেশ জটিল হয়ে ওঠে। কেউ চান নিরাপদ ভবিষ্যৎ, কেউ আবার খোঁজেন দ্রুত উন্নতির সুযোগ। তাই এই দুই ধারার চাকরির সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা বোঝা জরুরি।

সরকারি চাকরি বাংলাদেশে সবসময়ই সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। চাকরির নিরাপত্তা, পেনশন সুবিধা, চিকিৎসা ভাতা, বাসস্থান এবং সামাজিক সম্মান—সব মিলিয়ে সরকারি চাকরির প্রতি আকর্ষণ এখনো তীব্র। বিশেষ করে বিসিএস কিংবা প্রশাসনিক ক্যাডার—এখনও শিক্ষার্থীদের বড় স্বপ্ন। তবে এখানে প্রবেশের প্রতিযোগিতা ভয়ংকর রকম কঠিন। পাশাপাশি পদোন্নতি প্রক্রিয়া ধীরগতি এবং সৃজনশীলতা প্রয়োগের সুযোগও তুলনামূলক সীমিত।

অন্যদিকে বেসরকারি চাকরিকে বলা হয় গতিশীলতার ক্ষেত্র। ব্যাংক, আইটি, করপোরেট, এনজিও বা বহুজাতিক কোম্পানি—সবখানেই তরুণদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এখানে বেতন অনেক সময় সরকারি চাকরির চেয়ে বেশি হয়, পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দ্রুত পদোন্নতির সুযোগ থাকে, সৃজনশীলতা প্রয়োগের ক্ষেত্রও অনেক বড়। কিন্তু চাকরির নিশ্চয়তা কম, কাজের চাপ বেশি এবং অবসরকালীন নিরাপত্তার বিষয়টি অনিশ্চিত।

তাহলে শিক্ষার্থীরা কোন পথ বেছে নেবেন? উত্তর সহজ নয়। যারা নিরাপদ ভবিষ্যৎ, স্থায়ী আয় এবং সামাজিক মর্যাদা চান, তারা সরকারি চাকরির পথে হাঁটতে পারেন। আর যারা উদ্ভাবন, দ্রুত উন্নতি এবং আন্তর্জাতিক সুযোগ খুঁজছেন, তাদের জন্য বেসরকারি খাত হতে পারে সেরা প্ল্যাটফর্ম। তবে যেকোনো সিদ্ধান্তই নিতে হবে সচেতনভাবে।

ক্যারিয়ার শুধু একটি চাকরির নাম নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি যাত্রা। তাই শিক্ষার্থীদের উচিত নিজের স্বপ্ন, দক্ষতা, এবং আগ্রহের সঙ্গে মিলিয়ে পথ বেছে নেওয়া। সরকারি হোক বা বেসরকারি—সফলতা আসবে পরিশ্রম, দক্ষতা এবং সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে।

অবশেষে বলা যায়, ক্যারিয়ারের দৌড়ে একপক্ষকে ছোট করে দেখা নয়, বরং নিজের জন্য সঠিক জায়গাটা খুঁজে নেওয়াই আসল সাফল্য।

মাতৃভূমির খবর

Link copied!