
‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষে আজ বুধবার, ১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষে আজ বুধবার, ১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।
এদিন বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এতে আরও বলা হয়, শহিদদের মাগফেরাতের জন্য বুধবার বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
এদিকে ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহিদ দিবস’ হিসেবে প্রথমবারের মতো আজ বুধবার এই দিবস পালন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেওয়া এক বাণীতে বলেছেন, জুলাই শহিদরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই সুযোগকে কাজে লাগাতে সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশের পথে দৃপ্ত পদভারে একযোগে সবাই এগিয়ে যাব, আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহিদ দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রথমবারের মতো আজ বুধবার এই দিবস পালিত হবে। দিবসটিকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুতরাং এদিন ছুটি থাকবে না। গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানিয়া আফরোজার সই করা এক পরিপত্রে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রথমবারের মতো দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহিদ দিবস’। এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থা বিলোপের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলিতে ও সন্ত্রাসীদের হামলায় এই দিনে চট্টগ্রাম, রংপুর ও ঢাকায় অন্তত ছয়জন শহিদ হন। ক্ষণজন্মা অকুতোভয় এই বীরদের আত্মদান আন্দোলনে তীব্র গতির সঞ্চার করে। প্রতিবাদে দেশজুড়ে রাজপথে নেমে আসে লাখো শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতা। আন্দোলনের তীব্রতার সঙ্গে বাড়তে থাকে শহিদদের সংখ্যা। বৈষম্য ও কোটাবিরোধী আন্দোলন অচিরেই রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। সর্বস্তরের মানুষের দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বৈরাচার। হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে হয় মুক্তির নতুন সূর্যোদয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের জুলাই শহিদরা চব্বিশের স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে এক মহাকাব্যিক বীরত্বগাথা রচনা করে গেছেন। শহিদ ও আহত জুলাইযোদ্ধাদের অবদানকে সমুন্নত রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরেই তাদের ও তাদের পরিবারের কল্যাণে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে এবং শহিদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদফতর’ এবং ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়েছে। জুলাই শহিদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত ও গেজেট প্রকাশের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রতিটি শহিদ পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা ও মাসিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। আহত জুলাইযোদ্ধাদের কল্যাণেও অনুরূপ নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী সব শহিদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষে আজ বুধবার, ১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।
এদিন বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এতে আরও বলা হয়, শহিদদের মাগফেরাতের জন্য বুধবার বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
এদিকে ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহিদ দিবস’ হিসেবে প্রথমবারের মতো আজ বুধবার এই দিবস পালন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেওয়া এক বাণীতে বলেছেন, জুলাই শহিদরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই সুযোগকে কাজে লাগাতে সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশের পথে দৃপ্ত পদভারে একযোগে সবাই এগিয়ে যাব, আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহিদ দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রথমবারের মতো আজ বুধবার এই দিবস পালিত হবে। দিবসটিকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুতরাং এদিন ছুটি থাকবে না। গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানিয়া আফরোজার সই করা এক পরিপত্রে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রথমবারের মতো দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহিদ দিবস’। এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থা বিলোপের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলিতে ও সন্ত্রাসীদের হামলায় এই দিনে চট্টগ্রাম, রংপুর ও ঢাকায় অন্তত ছয়জন শহিদ হন। ক্ষণজন্মা অকুতোভয় এই বীরদের আত্মদান আন্দোলনে তীব্র গতির সঞ্চার করে। প্রতিবাদে দেশজুড়ে রাজপথে নেমে আসে লাখো শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতা। আন্দোলনের তীব্রতার সঙ্গে বাড়তে থাকে শহিদদের সংখ্যা। বৈষম্য ও কোটাবিরোধী আন্দোলন অচিরেই রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। সর্বস্তরের মানুষের দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বৈরাচার। হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে হয় মুক্তির নতুন সূর্যোদয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের জুলাই শহিদরা চব্বিশের স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে এক মহাকাব্যিক বীরত্বগাথা রচনা করে গেছেন। শহিদ ও আহত জুলাইযোদ্ধাদের অবদানকে সমুন্নত রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরেই তাদের ও তাদের পরিবারের কল্যাণে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে এবং শহিদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদফতর’ এবং ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়েছে। জুলাই শহিদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত ও গেজেট প্রকাশের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রতিটি শহিদ পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা ও মাসিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। আহত জুলাইযোদ্ধাদের কল্যাণেও অনুরূপ নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী সব শহিদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।