
সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, মরোক্কো যাওয়ার পথে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অস্ত্রের ম্যাগাজিন নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেছেন। অস্ত্রসহ বিমানবন্দরে প্রবেশ করা একটি ক্রিমিনাল অফেন্স (ফৌজদারি অপরাধ); একটা ভয়ঙ্কর অপরাধ। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনি যদি এই কাজ করেন, আপনাকে জেলে যেতে হবে।
কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগের একজন নেতা অস্ত্রসহ এয়ারপোর্টে ঢুকে গিয়েছিলেন। তার জেল হয়েছিল। স্বৈরাচারী আমলে কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারও এ আইনটা প্রয়োগ করেছিল।
মাসুদ কামাল বলেন, দেশের সংবিধান বলে আইন সবার জন্য সমান।
কিন্তু জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা দেখছি আইন সবার জন্য সমান নয়। উনার জন্য আইন সমান নয়, উনার কিছুই হয়নি। উনি সেই অস্ত্রটা উনার প্রটোকল অফিসারের কাছে দিয়ে মরক্কো চলে গেছেন। কেউ তাকে আটকায়নি।
কেউ তাকে বলেনি আপনি একটা বেআইনি কাজ করেছেন। কেউ উনার কাছ থেকে কোন ধরনের মুচলেকা পর্যন্ত নেয়নি। যেন কিছুই হয়নি। এই হলো এ দেশের আইনের শাসনের নমুনা।
বাংলাদেশের অস্ত্র আইনের বিষয়ে মাসুদ কামাল বলেন, আইন বলছে অস্ত্র পেতে হলে বয়স হতে হবে ৩০ থেকে ৭০ বছর।
দ্বিতীয়ত, ছোট অস্ত্রের ক্ষেত্রে প্রতিবছর ৩ লাখ টাকা করে পরপর ৩ বছর আয়কর দিতে হবে। তারপর জেলা প্রশাসন বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বয়স ২৬ আর তার ৩ লাখ টাকা আয়কর দেওয়ার সামর্থ্য আছে বলে বলে আমি বিশ্বাস করি না। কারণ কয়েকদিন আগেও তিনি বেকার ছিলেন, পড়ালেখাও শেষ করেন নাই।
মাসুদ কামাল বলেন, আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অস্ত্র আইনের একটি অধ্যায়ের ছবি দিয়ে লিখেছেন— আসুন জানি-শিখি, তারপর মন্তব্য করি। ডিফেম (মানহানি) করাই যদি উদ্দেশ্য হয়, তাহলে অজ্ঞ থাকুন। উপদেষ্টার এমন স্ট্যাটাসে ঔদ্ধত্য রয়েছে উল্লেখ করে মাসুদ কামাল বলেন, এতে মানুষকে আক্রমণ করার এক ধরনের মানসিকতা এখানে কাজ। উনি বলতে চেয়েছেন, যারা উনাকে ডিফেম করেছেন তারা কিছু জানে না, কিছু শেখেনি এবং তারা অজ্ঞ-মূর্খ। উনি হলেন মহাজ্ঞানী।
স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সমপদ মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তির জন্য আইনে বিশেষ একটা প্রাধিকার আছে উল্লেখ করে মাসুদ কামাল বলেন, উনি মন্ত্রীর সমপদ মর্যাদা সম্পন্ন একজন ব্যক্তি। অতএব উনার জন্য ওই ৩০ বছরের নিয়মটা প্রযোজ্য নয় এবং ওই ইনকাম ট্যাক্সের ব্যাপারটাও প্রযোজ্য নয়। তো সেক্ষেত্রে উনি অস্ত্র পেতে পারেন লাইসেন্স হিসেবে।
তবে অস্ত্র আইনে বলা আছে, বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র সংশ্লিষ্ট জেলা মালখানা, থানা অথবা সেফ কিপিং লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে জমা রাখতে হবে। মরক্কোতে যাওয়ার আগে আপনি কি আপনার অস্ত্রটা যথাযথা যায়গায় রেখেছেন? রাখেননি; রাখেননি আমি কি করে বুঝলাম? আপনি স্পষ্ট বলেছেন- 'যে প্যাকিং করার সময় অস্ত্রসহ একটি ম্যাগাজিন বাসায় রেখে এলেও ভুলবশত আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যাগে থেকে যায়। যেটা স্ক্যান করার পর আমার প্রোটোকল অফিসারের কাছে হস্তান্তর করে আসি। প্রশ্নটা হলো আপনি অস্ত্রটা বাসায় রেখে এসেছেন, কেন? আপনি তো বাসায় অস্ত্র রেখে আসতে পারেন না।
৩৩ এর খ ধারা অনুযায়ী আপনি এটা পারেন না। আপনি অস্ত্র নিয়েছেন, অস্ত্র আইন জানবেন না। আপনি তো অস্ত্র রাখার যোগ্যতাই নাই আপনার। আপনি তো অন্যায় করেছেন, ক্রিমিনাল অফেন্স করেছেন। এটা একটা ক্রিমিনাল অফেন্স।'
তিনি বলেন, আপনি যদি এই কাজ করেন, আপনাকে জেলে যেতে হবে।
কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগের একজন নেতা অস্ত্রসহ এয়ারপোর্টে ঢুকে গিয়েছিলেন। তার জেল হয়েছিল। স্বৈরাচারী আমলে কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারও এ আইনটা প্রয়োগ করেছিল।
মাসুদ কামাল বলেন, দেশের সংবিধান বলে আইন সবার জন্য সমান।
কিন্তু জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা দেখছি আইন সবার জন্য সমান নয়। উনার জন্য আইন সমান নয়, উনার কিছুই হয়নি। উনি সেই অস্ত্রটা উনার প্রটোকল অফিসারের কাছে দিয়ে মরক্কো চলে গেছেন। কেউ তাকে আটকায়নি।
কেউ তাকে বলেনি আপনি একটা বেআইনি কাজ করেছেন। কেউ উনার কাছ থেকে কোন ধরনের মুচলেকা পর্যন্ত নেয়নি। যেন কিছুই হয়নি। এই হলো এ দেশের আইনের শাসনের নমুনা।
বাংলাদেশের অস্ত্র আইনের বিষয়ে মাসুদ কামাল বলেন, আইন বলছে অস্ত্র পেতে হলে বয়স হতে হবে ৩০ থেকে ৭০ বছর।
দ্বিতীয়ত, ছোট অস্ত্রের ক্ষেত্রে প্রতিবছর ৩ লাখ টাকা করে পরপর ৩ বছর আয়কর দিতে হবে। তারপর জেলা প্রশাসন বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বয়স ২৬ আর তার ৩ লাখ টাকা আয়কর দেওয়ার সামর্থ্য আছে বলে বলে আমি বিশ্বাস করি না। কারণ কয়েকদিন আগেও তিনি বেকার ছিলেন, পড়ালেখাও শেষ করেন নাই।
মাসুদ কামাল বলেন, আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অস্ত্র আইনের একটি অধ্যায়ের ছবি দিয়ে লিখেছেন— আসুন জানি-শিখি, তারপর মন্তব্য করি। ডিফেম (মানহানি) করাই যদি উদ্দেশ্য হয়, তাহলে অজ্ঞ থাকুন। উপদেষ্টার এমন স্ট্যাটাসে ঔদ্ধত্য রয়েছে উল্লেখ করে মাসুদ কামাল বলেন, এতে মানুষকে আক্রমণ করার এক ধরনের মানসিকতা এখানে কাজ। উনি বলতে চেয়েছেন, যারা উনাকে ডিফেম করেছেন তারা কিছু জানে না, কিছু শেখেনি এবং তারা অজ্ঞ-মূর্খ। উনি হলেন মহাজ্ঞানী।
স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সমপদ মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তির জন্য আইনে বিশেষ একটা প্রাধিকার আছে উল্লেখ করে মাসুদ কামাল বলেন, উনি মন্ত্রীর সমপদ মর্যাদা সম্পন্ন একজন ব্যক্তি। অতএব উনার জন্য ওই ৩০ বছরের নিয়মটা প্রযোজ্য নয় এবং ওই ইনকাম ট্যাক্সের ব্যাপারটাও প্রযোজ্য নয়। তো সেক্ষেত্রে উনি অস্ত্র পেতে পারেন লাইসেন্স হিসেবে।
তবে অস্ত্র আইনে বলা আছে, বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র সংশ্লিষ্ট জেলা মালখানা, থানা অথবা সেফ কিপিং লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে জমা রাখতে হবে। মরক্কোতে যাওয়ার আগে আপনি কি আপনার অস্ত্রটা যথাযথা যায়গায় রেখেছেন? রাখেননি; রাখেননি আমি কি করে বুঝলাম? আপনি স্পষ্ট বলেছেন- 'যে প্যাকিং করার সময় অস্ত্রসহ একটি ম্যাগাজিন বাসায় রেখে এলেও ভুলবশত আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যাগে থেকে যায়। যেটা স্ক্যান করার পর আমার প্রোটোকল অফিসারের কাছে হস্তান্তর করে আসি। প্রশ্নটা হলো আপনি অস্ত্রটা বাসায় রেখে এসেছেন, কেন? আপনি তো বাসায় অস্ত্র রেখে আসতে পারেন না।
৩৩ এর খ ধারা অনুযায়ী আপনি এটা পারেন না। আপনি অস্ত্র নিয়েছেন, অস্ত্র আইন জানবেন না। আপনি তো অস্ত্র রাখার যোগ্যতাই নাই আপনার। আপনি তো অন্যায় করেছেন, ক্রিমিনাল অফেন্স করেছেন। এটা একটা ক্রিমিনাল অফেন্স।'