
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) এক মুখপাত্র বলেছেন, গাজাই পৃথিবীর একমাত্র ‘সংজ্ঞায়িত অঞ্চল’, যেখানে সমস্ত জনগণ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
শুক্রবার (৩০ মে) এজেন্সি অব ফ্র্যান্স প্রেস (এএফপি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওসিএইচএর মুখপাত্র জেন্স লারকে বলেন, গাজা পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত স্থান। এটিই একমাত্র সংজ্ঞায়িত অঞ্চল, একটি দেশ বা দেশের মধ্যে সংজ্ঞায়িত একটি ভূখণ্ড, যেখানে সমগ্র জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে। এখানকার ১০০ শতাংশ জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে, গাজায় চলমান ভয়াবহ মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে থাকা ইসরায়েলের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি যদি অবিলম্বে উন্নত না হয়, তাহলে ইউরোপীয় দেশগুলোর উচিত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্মিলিত অবস্থান আরও কঠোর করা।
ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমাদের সামনের কয়েকটা ঘণ্টা ও দিনের মধ্যেই কাজ সারতে হবে।’
তার ভাষায়, ‘ইসরায়েল যদি যথাযথ প্রতিক্রিয়া না দেখায়, তাহলে আমাদেরকে মানবাধিকার রক্ষার ধারণাকে ত্যাগ করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথেই যেতে হবে।’
এ সময় গাজায় খাদ্যবাহী ট্রাক লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে ম্যাক্রোঁ বলেন, এটি মানবিক সহায়তা বণ্টনের গভীর সমস্যার প্রমাণ।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি ইতিমধ্যেই ইসরায়েল গ্রহণ করেছে। তবে সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করলেও প্রস্তাবটি পর্যালোচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস।
একইসঙ্গে এ প্রস্তাবের বর্তমান রূপ গাজায় ‘হত্যা ও দুর্ভিক্ষের ধারাবাহিকতা’ ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবে না বলেই অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এরপরই এসেছে জিম্মি মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি। এতে প্রস্তাব করা হয়েছে, প্রথম সপ্তাহে ইসরায়েলের ২৮ জনকে ফেরত দিতে হবে হামাসকে। বেঁচে না থাকলে মরদেহ ফেরত দিতে হবে। অন্যদিকে, ইসরায়েল মুক্ত করবে ফিলিস্তিনের ১ হাজার ২৩৬ জনকে। পাশাপাশি মারা যাওয়া ১৮০ জন ফিলিস্তিনির মরদেহও ফেরতে দেবে দেশটি।
সামরিক অভিযান ও সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হলে হামাস ইসরায়েলের শেষ ৩০ জনকে মুক্তি দেবে। যুদ্ধবিরতি শুরু হলেই গাজায় সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ করবে ইসরায়েল। পরে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করবে।
আর ত্রাণ প্রসঙ্গে এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলে গাজায় মানবিক সহায়তা যাওয়া শুরু হবে। আর ওই ত্রাণ কাজের সমন্বয় করবে খোদ জাতিসংঘ। সঙ্গে থাকবে রেডক্রিসেন্টসহ অন্যান্য সর্বসম্মত সংস্থা।
প্রস্তাবিত সর্বশেষ এ পরিকল্পনাটির ব্যাপারে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মধ্যস্থতাকারী মিশর ও কাতার নিশ্চয়তা দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
এতে বলা হয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেই গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো শুরু হবে।
তবে হামাস নেতা সামি আবু জুহরি বলেন, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গির পুরো প্রতিফলন ঘটেছে। তবে এতে যুদ্ধ শেষ, সেনা প্রত্যাহার কিংবা মানবিক সহায়তা প্রবেশের কোনো নিশ্চয়তা নেই। যেগুলো হামাসের প্রধান দাবি।
শুক্রবার (৩০ মে) এজেন্সি অব ফ্র্যান্স প্রেস (এএফপি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওসিএইচএর মুখপাত্র জেন্স লারকে বলেন, গাজা পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত স্থান। এটিই একমাত্র সংজ্ঞায়িত অঞ্চল, একটি দেশ বা দেশের মধ্যে সংজ্ঞায়িত একটি ভূখণ্ড, যেখানে সমগ্র জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে। এখানকার ১০০ শতাংশ জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে, গাজায় চলমান ভয়াবহ মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে থাকা ইসরায়েলের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি যদি অবিলম্বে উন্নত না হয়, তাহলে ইউরোপীয় দেশগুলোর উচিত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্মিলিত অবস্থান আরও কঠোর করা।
ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমাদের সামনের কয়েকটা ঘণ্টা ও দিনের মধ্যেই কাজ সারতে হবে।’
তার ভাষায়, ‘ইসরায়েল যদি যথাযথ প্রতিক্রিয়া না দেখায়, তাহলে আমাদেরকে মানবাধিকার রক্ষার ধারণাকে ত্যাগ করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথেই যেতে হবে।’
এ সময় গাজায় খাদ্যবাহী ট্রাক লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে ম্যাক্রোঁ বলেন, এটি মানবিক সহায়তা বণ্টনের গভীর সমস্যার প্রমাণ।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি ইতিমধ্যেই ইসরায়েল গ্রহণ করেছে। তবে সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করলেও প্রস্তাবটি পর্যালোচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস।
একইসঙ্গে এ প্রস্তাবের বর্তমান রূপ গাজায় ‘হত্যা ও দুর্ভিক্ষের ধারাবাহিকতা’ ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবে না বলেই অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এরপরই এসেছে জিম্মি মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি। এতে প্রস্তাব করা হয়েছে, প্রথম সপ্তাহে ইসরায়েলের ২৮ জনকে ফেরত দিতে হবে হামাসকে। বেঁচে না থাকলে মরদেহ ফেরত দিতে হবে। অন্যদিকে, ইসরায়েল মুক্ত করবে ফিলিস্তিনের ১ হাজার ২৩৬ জনকে। পাশাপাশি মারা যাওয়া ১৮০ জন ফিলিস্তিনির মরদেহও ফেরতে দেবে দেশটি।
সামরিক অভিযান ও সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হলে হামাস ইসরায়েলের শেষ ৩০ জনকে মুক্তি দেবে। যুদ্ধবিরতি শুরু হলেই গাজায় সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ করবে ইসরায়েল। পরে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করবে।
আর ত্রাণ প্রসঙ্গে এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলে গাজায় মানবিক সহায়তা যাওয়া শুরু হবে। আর ওই ত্রাণ কাজের সমন্বয় করবে খোদ জাতিসংঘ। সঙ্গে থাকবে রেডক্রিসেন্টসহ অন্যান্য সর্বসম্মত সংস্থা।
প্রস্তাবিত সর্বশেষ এ পরিকল্পনাটির ব্যাপারে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মধ্যস্থতাকারী মিশর ও কাতার নিশ্চয়তা দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
এতে বলা হয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেই গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো শুরু হবে।
তবে হামাস নেতা সামি আবু জুহরি বলেন, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গির পুরো প্রতিফলন ঘটেছে। তবে এতে যুদ্ধ শেষ, সেনা প্রত্যাহার কিংবা মানবিক সহায়তা প্রবেশের কোনো নিশ্চয়তা নেই। যেগুলো হামাসের প্রধান দাবি।