‘মানবিক করিডর’ পুরোটাই গুজব: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

আপলোড সময় : ২১-০৫-২০২৫ ০৪:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২১-০৫-২০২৫ ০৬:২৩:০১ অপরাহ্ন
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান আজ (২১ মে) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবিক করিডর প্রতিষ্ঠা নিয়ে যেসব গুজব ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কেউ কথা বলেনি, ভবিষ্যতেও বলবে না। কারণ এর প্রয়োজনই নেই।”

তিনি ব্যাখ্যা করেন, রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে, তাই জাতিসংঘ সীমান্তের কাছাকাছি ত্রাণ পৌঁছানোর অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু এতে কোনও করিডর বা শরণার্থী স্থানান্তরের বিষয় নেই।

ড. খলিল বলেন, “যদি রাখাইন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়, তাহলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আবার আলোচনা শুরু করা যাবে। কিন্তু যতদিন সেখানে যুদ্ধাবস্থা চলবে, ততদিন এই প্রক্রিয়া এগোনো সম্ভব নয়।”

তিনি আরও জানান, রাখাইনের ৯০ শতাংশ এখন আরাকান আর্মির দখলে। তবে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মি উভয় পক্ষই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নীতিগতভাবে সম্মত। ইতোমধ্যে ৮ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে আড়াই লাখের ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, “যদি খাবার ও ওষুধের সংকট তীব্র হয়, তবে রাখাইন থেকে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে, যা বাংলাদেশ আর বহন করতে পারবে না।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “জাতিসংঘ আমাদের কাছে রাখাইনে ত্রাণ পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে, তবে এতে কিছু শর্তও রয়েছে। আরাকানে কোনও জাতিগত নিধন বা একক জাতিগোষ্ঠীর শাসন আমরা মেনে নেব না।”

সবশেষে ড. খলিল বলেন, “রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সব বিকল্প আমাদের টেবিলে রয়েছে। আমরা কূটনৈতিকভাবেই এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।”

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক: মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সোহাগ

প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক: রেজাউল করিম

অফিস :

প্রধান কার্যালয়ঃ ২৪/২৫, দিলকুশা, সাধারণ বীমা ভবন, লিফট-৪ (৫ম তলা), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ ।

রেজিঃ নং ডিএ ৬৪৪২।  নিবন্ধিত দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টাল নং ৮৪।