
ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালাতে পারে- এমন ‘বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য’ রয়েছে পাকিস্তানের হাতে। এমন অবস্থায় ভারতের যেকোনও আগ্রাসনের পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ মঙ্গলবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
এই আলাপচারিতায়দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক উত্তেজনা, বিশেষ করে কাশ্মিরের পেহেলগাম হামলা ও ভারতের সাম্প্রতিক আগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শেহবাজ শরিফ।
সরকারি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে এবং এই বৈশ্বিক সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে দেশটি যে বিপুল ত্যাগ স্বীকার করেছে, সেটিও তিনি মহাসচিবকে স্মরণ করিয়ে দেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন এবং পেহেলগাম হামলার ঘটনায় একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান।
তিনি বলেন, কাশ্মিরের স্বাধীনতা আন্দোলনকে “সন্ত্রাসবাদ” আখ্যা দিয়ে ভারত দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, ভারত কাশ্মিরের দখলকৃত অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ আরও বলেন, ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের জীবননির্ভর পানিপ্রবাহকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত। বিশেষ করে সিন্ধু নদের পানি চুক্তিকে একতরফাভাবে স্থগিত করার হুমকি নিয়ে তিনি তীব্র উদ্বেগ জানান।
তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবকে আহ্বান জানান ভারতকে দায়িত্বশীল আচরণে উৎসাহিত করতে এবং সংযম বজায় রাখার পরামর্শ দিতে।
শেহবাজ বলেন, ‘ভারত যদি আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তবে পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ড রক্ষায় পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, কাশ্মির সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা আসবে না এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের উচিত এ বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে কার্যকর ভূমিকা নেওয়া।
তিনি এটাও বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস পাকিস্তানের শান্তির আহ্বানকে স্বাগত জানান এবং বলেন, এই অঞ্চলে এখন কোনো উত্তেজনা বৃদ্ধির সুযোগ নেই।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ মঙ্গলবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
এই আলাপচারিতায়দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক উত্তেজনা, বিশেষ করে কাশ্মিরের পেহেলগাম হামলা ও ভারতের সাম্প্রতিক আগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শেহবাজ শরিফ।
সরকারি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে এবং এই বৈশ্বিক সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে দেশটি যে বিপুল ত্যাগ স্বীকার করেছে, সেটিও তিনি মহাসচিবকে স্মরণ করিয়ে দেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন এবং পেহেলগাম হামলার ঘটনায় একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান।
তিনি বলেন, কাশ্মিরের স্বাধীনতা আন্দোলনকে “সন্ত্রাসবাদ” আখ্যা দিয়ে ভারত দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, ভারত কাশ্মিরের দখলকৃত অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ আরও বলেন, ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের জীবননির্ভর পানিপ্রবাহকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত। বিশেষ করে সিন্ধু নদের পানি চুক্তিকে একতরফাভাবে স্থগিত করার হুমকি নিয়ে তিনি তীব্র উদ্বেগ জানান।
তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবকে আহ্বান জানান ভারতকে দায়িত্বশীল আচরণে উৎসাহিত করতে এবং সংযম বজায় রাখার পরামর্শ দিতে।
শেহবাজ বলেন, ‘ভারত যদি আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তবে পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ড রক্ষায় পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, কাশ্মির সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা আসবে না এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের উচিত এ বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে কার্যকর ভূমিকা নেওয়া।
তিনি এটাও বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস পাকিস্তানের শান্তির আহ্বানকে স্বাগত জানান এবং বলেন, এই অঞ্চলে এখন কোনো উত্তেজনা বৃদ্ধির সুযোগ নেই।