পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যুর অভিযোগ এফআইআরে অনুল্লেখিত

আপলোড সময় : ২৮-০৭-২০২৪ ১০:০৯:৩২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৮-০৭-২০২৪ ১০:০৯:৩২ অপরাহ্ন

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। ১৬ জুলাই, নিরস্ত্র আবু সাঈদকে লক্ষ্য করে পুলিশের গুলি ছোড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তবে পুলিশের প্রাথামিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

 

এফআইআরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দিক থেকে গুলি ছুঁড়তে থাকে এবং ইটের টুকরো নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে এক শিক্ষার্থীকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখা যায়। সহপাঠীরা আবু সাঈদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

ক্যাম্পাস পুলিশ ক্যাম্পের এসআই বিভূতি ভূষণ রায়ের দায়ের করা এফআইআরে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত দুই থেকে তিন হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এফআইআরে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনরত দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন দিক থেকে ইট-পাটকেল ও আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এলোপাথাড়ি গুলি শুরু করে।

 

তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নিজেদের দোষ ঢাকতেই বিক্ষোভকারীদের ওপর দোষ চাপাতে চাইছে পুলিশ। তারা বলছেন, নিরস্ত্র আবু সাঈদকে সামনে থেকে গুলি করে হত্যা করলেও মামলায় তা উল্লেখ করেনি পুলিশ। নাম প্রকাশ না করে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ মারা গেলেও এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সুস্পষ্ট মামলা হয়নি। উল্টো নিজেদের দোষ ঢেকে পুলিশ দোষারোপ করেছে আন্দোলনকারীদের।

 

এফআইআরের বিষয়ে বিভূতি ভূষণ বলেন, ‘আমি মাত্র মামলা দায়ের করেছি। তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য যাচাই করবেন।’

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক: মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সোহাগ

প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক: রেজাউল করিম

অফিস :

প্রধান কার্যালয়ঃ ২৪/২৫, দিলকুশা, সাধারণ বীমা ভবন, লিফট-৪ (৫ম তলা), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ ।

রেজিঃ নং ডিএ ৬৪৪২।  নিবন্ধিত দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টাল নং ৮৪।