ডব্লিউএইচও থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
আপলোড সময় :
১২-০৭-২০২৫ ১০:২২:০৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
১২-০৭-২০২৫ ১০:২২:০৭ পূর্বাহ্ন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (সিয়ারো) আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে গেছেন।
শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে তার ছুটি কার্যকর হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করে।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস এক সংক্ষিপ্ত ইমেইলে কর্মীদের জানিয়েছেন, সায়মা ওয়াজেদ ছুটিতে যাচ্ছেন এবং তার অনুপস্থিতিতে ডব্লিউএইচওর সহকারী মহাপরিচালক ড. ক্যাথারিনা বোহমে দায়িত্ব পালন করবেন। বোহমে আগামী মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সিয়ারো অফিস, নয়াদিল্লি পৌঁছাবেন।
সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে তার নির্বাচন শুরু থেকেই বিতর্কের মধ্যে ছিল। অভিযোগ উঠেছে, তার প্রভাবশালী মা শেখ হাসিনা নিজের প্রভাব খাটিয়ে মেয়ের নির্বাচন নিশ্চিত করেন।
দুদকের তদন্ত জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র অনুযায়ী, সায়মা ওয়াজেদ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি তার প্রচারণায় দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একটি সম্মানজনক ভূমিকা রয়েছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে।
তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারা (প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি) এবং ৪৭১ ধারা (জাল দলিল) লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নিজের নেতৃত্বাধীন সুচনা ফাউন্ডেশনের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২৮ লাখ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছেন। তবে এ অর্থ কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, সে বিষয়ে মামলায় বিস্তারিত উল্লেখ নেই। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হয়েছে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা), ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায়।
মামলার পর থেকে সায়মা ওয়াজেদ সিয়ারো অঞ্চলে স্বাভাবিকভাবে সফর করতে পারছেন না। কারণ তিনি বাংলাদেশে গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হতে পারেন।
তথ্যসূত্র : হেলথ পলিসি ওয়াচ
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স