ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫ , ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

ঢাকায় তাজিয়া মিছিল বের হবে সকাল ১০টায়

আপলোড সময় : ০৬-০৭-২০২৫ ০৯:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০৬-০৭-২০২৫ ০৯:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন
ঢাকায় তাজিয়া মিছিল বের হবে সকাল ১০টায়
পবিত্র আশুরা মুসলিম বিশ্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। প্রতি বছর হিজরি সনের মহরম মাসের ১০ তারিখ এই দিনটি পালিত হয়। আশুরা শুধু একটি শোকের দিন নয়, এটি ত্যাগের মহিমা, সত্যের জয় এবং ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনার স্মারকও বটে।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলসহ রাজধানীতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন শিয়া মুসলিমরা।

রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার হোসাইনী দালান ইমামবাড়া থেকে বের হবে ১০ মহররমের প্রধান তাজিয়া মিছিল।

হোসাইনী দালান ইমামবাড়ার সুপারিন্টেনডেন্ট এম.এম. ফিরোজ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মিছিলের সামনে থাকবে কালো ব্যানার, বেহেস্তা (লাল-সবুজ নিশান), পাঞ্জা আলম মাতম, দুলদুল ঘোড়া, খুনি ঘোড়া ও একটি জারি তাজিয়া।

মিছিলটি হোসাইনী দালান ইমামবাড়া উত্তর গেট থেকে বের হয়ে হোসাইনী দালান রোড, বকশীবাজার লেন, আলিয়া মাদ্রাসা রোড, বকশীবাজার (কলপাড়) মোড়, উমেশ দত্ত রোড, উর্দু রোড মোড়, হরনাথ ঘোষ রোড, লালবাগ চৌরাস্তা মোড়, গোর-এ-শহীদ মাজার মোড়, এতিমখানা মোড়, আজিমপুর চৌরাস্তা মোড়, ইডেন কলেজ, নীলক্ষেত মোড়, মিরপুর রোড, ঢাকা কলেজ, সায়েন্সল্যাব মোড়, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২নং রোড, বিজিবি ৪ নং গেট, সাত মসজিদ রোড (ঝিগাতলা বাসস্ট্যান্ড) হয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি লেকে (অস্থায়ী কারবালা) গিয়ে শেষ হবে।

একনজরে দেখে নিন আশুরার ইতিহাস-

আশুরার দিনটি বিভিন্ন কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো:
কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনা: ৬১ হিজরির এই দিনে (১০ মহরম) ইরাকের কারবালা প্রান্তরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শাহাদত বরণ করেন। ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে তার পরিবার ও অনুসারীদের নির্মম শাহাদত বরণের এই ঘটনা মুসলিম উম্মাহকে গভীরভাবে ব্যথিত করে এবং এটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

আশুরার গুরুত্ব ও মুসলিম সমাজে এর পালন:
আশুলার দিনে মুসলিমরা বিভিন্ন উপায়ে ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন। শিয়া মুসলিমরা মূলত ইমাম হুসাইন (রা.)-এর শাহাদতকে স্মরণ করে শোক পালন করেন, তাজিয়া মিছিল বের করেন এবং মাতম করেন। অন্যদিকে, সুন্নি মুসলিমরা এই দিনে নফল রোজা রাখেন, দোয়া ও জিকির করেন এবং ইবাদতে মশগুল থাকেন। ঐতিহাসিক মুসা (আ.)-এর বিজয়ের স্মরণে নবী করিম (সা.) আশুরার দিনে রোজা রাখতেন এবং মুসলিমদের মহরম মাসের ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ