ঢাকা , রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ , ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

ঢাকা ব্লকেডের হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

আপলোড সময় : ২১-০৬-২০২৫ ০১:৪৫:২৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২১-০৬-২০২৫ ০১:৪৫:২৩ অপরাহ্ন
ঢাকা ব্লকেডের হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের
রাজধানীর নতুনবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। এ সময় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবি না মানলে ঢাকা ব্লকেডে হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২১ জুলাই) বেলা সোয়া ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের পাঁচদফা দাবি মেনে না নিলে নতুনবাজার সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ চলবে। পাশাপাশি দাবি দ্রুত না মানা হলে ঢাকা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ার দেন তারা।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি

১- অন্যায়ভাবে সকল বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

২- বহিষ্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সব ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৩- বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম-অসুবিধা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রিফর্ম দাবিসমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে।

৪- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

৫- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল করতে হবে।

এর আগে শনিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শিক্ষার্থীরা নতুনবাজার সড়কে অবস্থান নেন। এর ফলে নতুন বাজার-গুলশান-বনশ্রী সংযোগ সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। 

যান চলাচল স্বাভাবিক করাসহ শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাঝে পুলিশের লাঠিচার্জে ফাঁকা হলেও ১০ মিনিট পর শিক্ষার্থীরা ফের সড়কে অবস্থান নেন। এতে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডাগামী সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মূলত শিক্ষার্থীদের অবৈধ বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া ও স্বেচ্ছাচারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সড়কে তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান জানান, বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া ও স্বেচ্ছাচারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ইউআইইউর শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল ইউআইইউ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। 

২৮ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস চালু হলেও শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে সরাসরি ক্লাস ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ তাদের ১৩ দফা যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করছে। বরং আন্দোলন দমন করতে বহিষ্কার ও তদন্তের ভয় দেখানো হচ্ছে। 

ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে ২৬ মের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করলে টিউশন ফির সম্পূর্ণ ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ