ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ , ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

চালু হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া, থাকছে জরুরি নির্দেশনা

আপলোড সময় : ১৯-০৬-২০২৫ ০২:১৬:৪৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৯-০৬-২০২৫ ০২:১৬:৪৭ অপরাহ্ন
চালু হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া, থাকছে জরুরি নির্দেশনা
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা বিশ্বজুড়ে তরুণদের স্বপ্নের গন্তব্য। কিন্তু সেই স্বপ্নে যেন এখন ছায়া ফেলছে নজরদারি, শঙ্কা ও কঠোরতা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এবার বিদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও নজরদারির আওতায় আনছে। আর শুধু নজরদারি নয়, প্রোফাইল লক থাকলে বাতিল হবে ভিসা আবেদন।

সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া আবার চালু হবে, তবে এবার শর্ত আরও কঠিন। আবেদনকারীদের ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলাফেরা, মতামত এবং পুরোনো পোস্ট খুঁটিয়ে দেখা হবে। কোনো ভাবেই প্রোফাইল লক রাখা যাবে না। আর যদি কোনো শিক্ষার্থী এতে অস্বীকৃতি জানায়, তাদের ভিসা সরাসরি বাতিল করে দেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার, জনগণ, প্রতিষ্ঠান বা সাংবিধানিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কোনো বিদ্বেষমূলক মনোভাব আছে কিনা, সেটিই হবে তদন্তের মূল বিষয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কার্যত বাকস্বাধীনতার ওপর অঘোষিত হামলা।

এর আগে মে মাসের শেষ দিকে ট্রাম্প প্রশাসন ভিসা আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল। কারণ ছিল, যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাবসম্পন্নদের ঠেকাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ। এখন সেই পরিকল্পনা বাস্তব রূপ পাচ্ছে।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় তীব্র আর্থিক ও নীতিগত সংকটে পড়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এই নজরদারি নীতিকে তারা একটি রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে দেখছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ স্পষ্ট। এগুলো ‘বামঘেঁষা’ এবং ‘ইহুদি-বিরোধিতা প্রতিরোধে ব্যর্থ’। বিশেষ করে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলন নিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে চলমান বিক্ষোভ ও বিতর্ক ট্রাম্প প্রশাসনের চোখে পড়েছে। ফলে সরকার এখন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আদালত ইতিমধ্যে বাধা সৃষ্টি করেছে। অনেক ছাত্র বিতাড়নের আদেশ বা ভিসা বাতিলের প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছে আদালত। তবে হোয়াইট হাউসের অবস্থান স্পষ্ট, বিদেশি শিক্ষার্থী মানেই এখন কেবল মেধাবী নয়, বরং একজন সম্ভাব্য ‘বিপদ’ যাকে যাচাই করতেই হবে।

এই পদক্ষেপ শুধু শিক্ষার্থী নয়, গোটা বৈশ্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসা হাজার হাজার শিক্ষার্থী এখন ভয়ে তাদের প্রোফাইল, পোস্ট, মতামত-সবকিছু ‘পরীক্ষা’ দিয়ে সাজাচ্ছেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ