বিশ্ব পর্যটন খাতে মুসলিম পর্যটকদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যটন খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখা যাচ্ছে। ২০২৪ সালে মুসলিম পর্যটকদের সংখ্যা ১৭৬ মিলিয়ন পেরিয়েছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।

২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা আরও বেড়ে ২৪৫ মিলিয়নে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাদের ভ্রমণ ব্যয়ের পরিমাণও বাড়ছে, যা ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

মুসলিম পর্যটকদের চাহিদা এবং তাদের জন্য সেবার মান উন্নত করার প্রতি আগ্রহের ফলে সারা বিশ্বের পর্যটন খাতের নকশা বদলে যাচ্ছে। ২০২৫ সালের গ্লোবাল মুসলিম ট্রাভেল ইনডেক্স অনুযায়ী, ১০টি মুসলিম এবং ১০টি অমুসলিম দেশের মধ্যে সেরা মুসলিম-ফ্রেন্ডলি গন্তব্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে সিঙ্গাপুর টানা কয়েক বছর শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। সিঙ্গাপুরের অর্জিত পয়েন্ট ৭১, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেশি।

এ বছর প্রথমবারের মতো শীর্ষ ২০-এ স্থান পেয়েছে রাশিয়া ও কানাডা। এছাড়া নিউজিল্যান্ড, ম্যাকাও, তানজানিয়া, ও কেনিয়া এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা এই দেশগুলোর মুসলিম পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।

বিশ্বব্যাপী মুসলিম পর্যটকদের মধ্যে ৬০ বছরের উপরের পর্যটকদের খরচের প্রবণতা বিশেষভাবে বাড়ছে। বর্তমানে তারা বিশ্ব ভ্রমণ ব্যয়ের প্রায় ১৫ শতাংশ খরচ করছেন, যা ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ২.৬৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বয়সী পর্যটকরা সাধারণত অফ সিজনে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে ভ্রমণের জন্য বেশি খরচ করতে প্রস্তুত থাকেন। ফলে, পর্যটন খাতে ব্যবসায়ীদের জন্য এটি একটি লাভজনক সুযোগ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

মুসলিম পর্যটকদের সুবিধার্থে অনেক অমুসলিম দেশ এখন নামাজের স্থান, হালাল সার্টিফায়েড রেস্তোরাঁ এবং ধর্ম-সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন আতিথেয়তা সেবা প্রদান করছে। এসব উদ্যোগ তাদেরকে আরও আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরছে।

বিশ্বের সেরা ১০টি মুসলিম-ফ্রেন্ডলি অমুসলিম গন্তব্যের মধ্যে সিঙ্গাপুর শীর্ষে রয়েছে। অন্যান্য সেরা দেশগুলো হলো:

১. সিঙ্গাপুর
২. যুক্তরাজ্য
৩. হংকং
৪. তাইওয়ান
৫. থাইল্যান্ড
৬. আয়ারল্যান্ড
৭. অস্ট্রেলিয়া
৮. ফিলিপাইনস
৯. স্পেন
১০. জার্মানি