যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, ঘোষণা ট্রাম্পের
আপলোড সময় :
১১-০৬-২০২৫ ০৯:২১:৩১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১১-০৬-২০২৫ ০৯:২১:৩১ অপরাহ্ন
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দিন ধরে লন্ডনে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের আলোচনা শেষ হওয়ার পর ট্রাম্প এ ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (১১ জুন) আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি এবং আমার চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
পোস্টে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৫৫ শতাংশ শুল্ক পাচ্ছে, আর চীন পাচ্ছে ১০ শতাংশ। ট্রাম্প আরও বলেন, পূর্ণ চুম্বক এবং প্রয়োজনীয় যেকোনো বিরল খনিজ, চীনের মাধ্যমে আগেই সরবরাহ করা হবে। একইভাবে, আমরা চীনকে যা দিতে সম্মত হয়েছি যেমন আমাদের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থীরা অন্তর্ভুক্ত।
এর আগে লন্ডনে দুই দিনের আলোচনার পর বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের জন্য একটি কাঠামো তৈরিতে নীতিগতভাবে একমত হওয়ার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, এই চুক্তির ফলে বিরল খনিজ এবং চুম্বকের ওপর বিধিনিষেধ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।
উভয় পক্ষই জানিয়েছিল, তারা এখন তাদের নিজ নিজ দেশের প্রেসিডেন্টদের - ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং শি জিনপিংয়ের - কাছে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনাটি নিয়ে যাবে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকের আলোচ্যসূচির শীর্ষে ছিল আধুনিক প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিরল খনিজ পদার্থ, যা রফতানি করে চীন।
গত মাসে, একে অপরের ওপরের বাড়তি শুল্কারোপ না করার বিষয়ে সম্মত হয় ওয়াশিংটন এবং বেইজিং। তবে এরপরও উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে সেই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক যানবাহন পর্যন্ত সবকিছু তৈরির জন্য অপরিহার্য বিরল ধাতু এবং চুম্বকের রফতানি অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে ধীরগতি দেখিয়েছে চীন।
এর মধ্যেই সেমিকন্ডাক্টর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রযুক্তির মতো মার্কিন পণ্যগুলোতে চীনের এক্সেস সীমিত করে ওয়াশিংটন।
তবে লন্ডনে আলোচনার পর চীন-যুক্তরাষ্ট্র ‘জেনেভা ঐক্যমত্য বাস্তবায়নের জন্য একটি কাঠামোতে পৌঁছেছে’ বলে সাংবাদিকদের জানান লুটনিক। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের প্রেসিডেন্ট অনুমোদন করলে, আমরা এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স