বলিউডের অন্যতম প্রশংসিত অভিনেতা রাজকুমার রাও। সাফল্য তার পা ছুঁয়েছে। একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিচ্ছেন। বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।

তবে এই সাফল্য একদিনে আসেনি অভিনেতার। একসময় চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে গেছেন। পকেটে ছিল মাত্র ১৮ টাকা, ছিল না খাবার! সেসব দিন পার করে এসেছেন রাজকুমার রাও। তবে তখন মা ছিলেন তার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট। ছায়া হয়ে ছেলেকে আগলে রেখেছেন মা। নিজের জীবনের এমন বাস্তব গল্প শুনিয়েছেন অভিনেতা নিজেই।

এক পুরনো পডকাস্টে আবেগঘন স্মৃতিচারণায় জীবনের অনেক অজানা গল্প বলেছিলেন রাও। তিনি জানান, তার জীবনে এমন একটি সময় ছিল, যখন তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১৮ টাকা এবং তিনি জানতেন না পরের বেলার খাবার কোথা থেকে আসবে।

রণবীর আল্লাহাবাদিয়ার সঙ্গে এক পডকাস্টে রাজকুমার জানান, যখন নিয়মিত কাজ পাচ্ছিলেন না, তখন দুপুরের খাবার প্রায়ই বাদ দিতেন। এক প্যাকেট পার্লে জি বিস্কুট আর এক বোতল ফ্রুটি খেয়ে চলতেন, যা তখন মাত্র চার টাকা খরচ পড়ত। অভিনেতা বলেন, ‘আমার মা আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। যখনই আমার টাকা শেষ হয়ে যেত, তিনি কোনো না কোনোভাবে টাকা জোগাড় করে আমাকে পাঠিয়ে দিতেন।’

আলাপচারিতায় মুম্বাইয়ের স্ট্রাগলিং শিল্পীদের মধ্যে এক নির্বাক বন্ধনের কথাও তুলে ধরেন রাজকুমার রাও।

তিনি বলেন, দুজন রুমমেটের সঙ্গে একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। স্বপ্নপূরণের লড়াইয়ে খরচ যত কম রাখা যায়, সেই চেষ্টাই ছিল তাদের।

রাজকুমার আরো স্মরণ করেন তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তের কথা, যখন তার হাতে ছিল মাত্র ১৮ টাকা। তখন তিনি এফটিআইআইয়ের পুরনো বন্ধুদের ফোন করে জিজ্ঞেস করতেন, তারা কী খাচ্ছে এবং তিনি তাদের সঙ্গে খেতে পারবেন কি না! রাও বলেন, ‘এখানে অনেক সিনিয়র আর জুনিয়ররা থাকেন। কাউকে ফোন করে জিজ্ঞেস করা যেত, ‘রাতের খাবারে কী আছে? আমি কি আসতে পারি কি না!’

রাজকুমার রাওকে সর্বশেষ দেখা গেছে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ভুল চুক মাফ’-এ। সিনেমাটি বক্স অফিসেও বেশ ভালো সাড়া ফেলেছে। ইতিমধ্যে ৬০ কোটির বেশি আয় তুলে নিয়েছে। এ মাসেই ওটিটিতে মুক্তি পাবে এটি। এতে আরো অভিনয় করেছেন ওয়ামিকা গাব্বি।বতেদায়ি, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসাগুলোতে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশের সমন্বিত ছুটি শুরু হয়েছে ১ জুন, যা চলবে ২৫ জুন পর্যন্ত। ২৬ জুন থেকে পুনরায় ক্লাস শুরু হবে।