ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

কোটিপতি স্বামীর কঠোর শর্ত মানতে হয় সৌদিও ফারাবিয়ার

আপলোড সময় : ০১-০৬-২০২৫ ১১:৫৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০১-০৬-২০২৫ ১১:৫৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
কোটিপতি স্বামীর কঠোর শর্ত মানতে হয় সৌদিও ফারাবিয়ার
বিশ্বের বিলাসবহুল শহরগুলোর তালিকায় সবার শীর্ষে থাকা নাম দুবাই। গগনচুম্বী টাওয়ার, সোনা মণ্ডিত শপিংমল, দামি ব্র্যান্ডের গাড়ির বহর, আর প্রতি রাতে আলোকছটার উজ্জ্বল খেলা-সব মিলিয়ে এক স্বপ্নপুরীর মতো।

এই স্বপ্নপুরীতেই বাস করেন সৌদিও ফারাবিয়া নামের এক নারী, যার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল চোখ ধাঁধিয়ে দেয় সবার। যেন পরীর মতো সাজে মোড়া এক জীবন্ত রাজকন্যা। চোখে দামি সানগ্লাস, হাতে হ্যান্ডব্যাগের সঙ্গে মিলিয়ে পরা হাইহিল, প্রতিদিন ঝলমলে নতুন সাজ, নখে রঙিন আর্ট, ঠোঁটে চওড়া হাসি।

তাঁর প্রতিদিনের ছবি দেখে মনে হতে পারে-এই নারী নিঃসন্দেহে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষের একজন। কারো কল্পনার বাইরে যাওয়া জীবনযাপন করছেন তিনি। কিন্তু বাস্তবের ফারাবিয়া অন্য গল্প বলেন। সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, তাঁর এই ‘রূপকথার মতো’ জীবনের পেছনে রয়েছে কিছু কঠোর নিয়ম, কিছু দমবন্ধ করা শর্ত।

তিনি জানান, তার কোটিপতি স্বামী তাকে এক বিলাসবহুল জীবন দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তার বিনিময়ে দিতে হয়েছে নিজের ইচ্ছা, স্বাধীনতা, এমনকি নিজের পেশাটাও। সবচেয়ে বড় শর্ত-তিনি কোনো পুরুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারবেন না। এমনকি পরিচিত হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীমাবদ্ধ থাকতে হয়।

দ্বিতীয় শর্ত-জুতা আর ব্যাগের রঙ যেন এক না হয়, সেটা একপ্রকার ‘অপরাধ’। সাজে সামান্য এলোমেলো হলে তিরস্কার পেতে হয়। তৃতীয় শর্ত- কোনো কাজ করতে পারবে না! কারণ স্বামীই সব খরচ দেন!” চতুর্থ শর্ত-রান্নাঘরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন বাইরে খাওয়াই নিয়ম। আরও এক শর্ত-প্রতিদিন একজন পেশাদার মেকআপ আর্টিস্ট দিয়ে তাঁকে সাজানো বাধ্যতামূলক। কারণ, তাঁর স্বামী চান যে তাঁর স্ত্রী যেন সর্বদা ‘পারফেক্ট’ দেখায়। পরিপাটি, চকচকে আর সমাজের চোখে এক নম্বর!

ফারাবিয়ার কণ্ঠে না ছিলো অভিযোগ, না কোনো বিদ্রোহ। কিন্তু ভিডিওর ভেতরে ছিলো এক অদ্ভুত চাপা বিষণ্নতা। যেন হাসিমুখের পেছনে চাপা পড়ে থাকা দীর্ঘশ্বাসগুলো বারে বারে বলে উঠছিল-“এই রাজপ্রাসাদে আমি রাজকন্যা নই, আমি বন্দি।”

এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ঝড় ওঠে সামাজিক মাধ্যমে। কেউ লিখেছেন, “স্বপ্নের প্রাসাদে যদি নিজের মন খুলে কথা বলার সুযোগ না থাকে, তবে সেই প্রাসাদ আসলে এক সোনার খাঁচা।” তবে বিতর্কও থামেনি। কেউ কেউ বলছেন, “এই নারী নিজের ইচ্ছায়ই বেছে নিয়েছেন এ জীবন, তাই এখন অভিযোগের কিছু নেই।” আবার কেউ বলছেন, “যেখানে ভালোবাসার নামে কেউ আপনার জীবনবোধ কেড়ে নেয়, সেখানে তা ভালোবাসা নয়—তা নিছক নিয়ন্ত্রণ।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই ভিডিও আমাদের সমাজে একটি বড় প্রশ্ন তোলে-আধুনিক জীবনের ছকবাঁধা সফলতা কি আমাদের মানুষ থাকার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে?

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ