ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

মার্কিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি নেতানিয়াহু, কী বলছে হামাস

আপলোড সময় : ৩০-০৫-২০২৫ ১২:৩৩:০৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ৩০-০৫-২০২৫ ১২:৩৩:০৯ পূর্বাহ্ন
মার্কিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি নেতানিয়াহু, কী বলছে হামাস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে এই প্রস্তাবে ‘হতাশ’ হয়েছে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। 

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট জানিয়েছে, নেতানিয়াহু জিম্মি পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন তিনি উইটকফের প্রস্তাবে রাজি আছেন। তবে, হামাস এ প্রস্তাবে সম্মতি দিবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় শেষপর্যন্ত তারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে পারে। 

এদিকে হামাসের একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে জানিয়েছেন, তারা উইটকফের প্রস্তাবে হতাশ হয়েছেন। কারণ এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষে আলোচনা ভেস্তে গেলে দখলদাররা চাইলে আবারও যুদ্ধ শুরু করতে পারবে। কিন্তু হামাস চাইছে এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ হোক। 

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস নতুন প্রস্তাবটি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেনি। তারা এখন এটি পর্যালোচনা করছে।

টাইমস অব ইসরায়েলকে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবে উল্লেখ নেই যুদ্ধবিরতি শুরু হলে ইসরায়েলি সেনারা গাজার কোন কোন স্থান থেকে সরে যাবে অথবা তাদের পুনরায় কোথায় মোতায়েন করা হবে। যার অর্থ যুদ্ধবিরতি চললেও ইসরায়েলি সেনারা গাজায় অবস্থান করবে। যেখানে হামাসের সুস্পষ্ট দাবি ছিল, যুদ্ধবিরতি হলে দখলদার সেনাদের গাজা ছাড়তে হবে। 

এছাড়া যুদ্ধবিরতির আওতায় কোন কোন ত্রাণ গাজায় পৌঁছতে দেওয়া হবে সেটি এই প্রস্তাবে উল্লেখ নেই।

ইসরায়েলি অন্য এক কর্মকর্তা সংবাদমাথ্যমটিকে এর আগে জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হলে জাতিসংঘের সংস্থা গাজায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ওয়াইনেট জানিয়েছে, উইটকফের প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজায় প্রথমে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে। প্রস্তাবে ১০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি এবং ১৮ মৃত জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করবে হামাস। যারমধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার প্রথমদিন অর্ধেক আর সপ্তমদিন বাকি অর্ধেক জিম্মি মুক্তি পাবে। অপরদিকে ইসরায়েল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে আটক থাকা ও অন্যান্য কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।

এরপর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলতে থাকবে। কিন্তু ৬০ দিনের মধ্যে হামাস ও ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে এটির মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না সেটি স্পষ্ট করা নেই।

হামাস এখন দাবি জানাচ্ছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি করতে অস্থায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলে সেটি আরও বাড়ানো হবে— চুক্তিতে এমন কিছু থাকুক। এর আগে জানুয়ারিতে ইসরায়েলের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল সেখানে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু দখলদাররা গত ১৮ মার্চ চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ