চুলের যত্নে ঘরোয়া তেল
আপলোড সময় :
২২-০৫-২০২৫ ১০:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
২২-০৫-২০২৫ ১০:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন
চুলের সমস্যায় নারী-পুরুষ সবাইকে কম বেশি ভুগতে হয়। চুলের যত্নে তেল ব্যবহারের উপকারিতা অনেক। তবে চুলে তেল ব্যবহারে অনেকেরই অনীহা কাজ করে। কিন্তু তেল ছাড়া চুল কখনোই সুস্থ থাকবে না।
নিয়মিত তেল ব্যবহার করলে চুলের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর হয়। নিয়মিত তেল ব্যবহারেই মাথার ত্বকের রক্তসঞ্চালনও বৃদ্ধি পায়। তাই চুলের যত্নে ভেষজ তেল তৈরি করুন বাড়িতেই। বিভিন্ন কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ভেষজ তেল তৈরি করুন খুব সহজে।
বাড়িতেই নারকেল তেল বানানোর উপায়-
প্রথমে পরিমাণ মতো নারকেল কুরিয়ে নিতে হবে। কোরানো নারকেলের সঙ্গে কুসুম গরম পানি মিশিয়ে বেটে বা ব্লেন্ড করে নারকেল থেকে দুধ আলাদা করে নিতে হবে। ছেঁকে নেওয়া নারকেল দুধ ৮-৯ ঘণ্টা ভালোমতো ঢেকে রেখে দিলে দুধ জমাট বেঁধে যাবে।
জমাট বাঁধা নারকেল দুধ চুলায় অল্প আঁচে জাল দিয়ে দিয়ে তেল বের করতে হবে। একসময় দেখা যাবে নারকেল দুধ ছানার মতো হয়ে ভাজা ভাজা হয়ে গিয়েছে এবং তেল আলাদা হয়ে ফেনা উঠছে। এর ফেনা ওঠা নারকেল ঠান্ডা করে ছেঁকে তেল আলাদা করে ফেলতে হবে। এভাবে ঘরেই তৈরি হয়ে যাবে খাঁটি নারকেল তেল।
আরও পড়ুন: রিলস বা শর্টস দেখলে আপনার যে রোগ হতে পারে
এরপর এই তেলে পুষ্টিগুণসম্পন্ন করতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যেমন: পেয়াঁজ, অ্যালোভেরা, জবা ফুল, আমলকী, কারিপাতা, নিমপাতা, মেথি, চা পাতা মিশিয়ে নিতে হবে। এসব উপাদান ব্যবহার করবেন যে কারণে-
১. পেয়াঁজ চুল পড়া কমায় ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
২. অ্যালোভেরা চুলের খুশকির সমস্যা দূর করে ও চুল মসৃণ রাখে।
৩. জবা ফুল চুল পড়া কমায়।
৪. আমলকী চুলে পুষ্টি জোগায় ও গোড়া থেকে চুলকে মজবুত করে।
৫. কারিপাতা চুলের খুশকি দূর করে চুলকে মজবুত করে।
৬. নিমপাতা মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে ও চুলকানির সমস্যা দূর করে।
আরও পড়ুন: বর্ষার আগেই বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া, সতর্ক থাকুন ৫ অভ্যাস থেকে
৭. মেথি চুলকে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
৮. চা পাতা চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে রেশম ও কোমল করে।
ঘরে তেল বানানোর জন্য উল্লিখিত সব উপাদান একসঙ্গে ব্যবহার করা যায় আবার আলাদা করেও ব্যবহার করা যাবে।
এ উপাদানগুলো যেভাবে তেলে যোগ করবেন- প্রথমে চুলায় পাত্র গরম করে পরিমাণমতো নারকেল তেল দিয়ে নিন। তেল হালকা গরম হয়ে এলে সব কটি বা কয়েকটি উপাদান এক এক করে দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। যতক্ষণ পর্যন্ত সব কটি উপাদানে ভাজা ভাজা ভাব না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত নেড়ে তেলটি বানাতে হবে। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিতে হবে। এ তেল অবশ্যই কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।
নিয়মিত এ তেল ব্যবহারে নিজেই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চুলের পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স