১০ সপ্তাহ পর গাজায় সামান্য খাদ্য প্রবেশের অনুমতি
আপলোড সময় :
১৯-০৫-২০২৫ ১১:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
১৯-০৫-২০২৫ ১১:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন
১০ সপ্তাহ ধরে অবরোধের পর ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, তারা গাজায় ক্ষুধার সংকট মেটাতে প্রাথমিকভাবে সামান্য পরিমানে খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দেবে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজাজুড়ে বিস্তৃত স্থল অভিযান শুরু করার কথা বলার কয়েক ঘন্টা পরেই এই ঘোষণা এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সুপারিশের ভিত্তিতে এবং হামাসের বিরুদ্ধে তাদের পুনর্নবীকরণ সামরিক অভিযানকে সমর্থন করার প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য ইসরায়েলের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বাড়ছে, এই সময় কোনো খাদ্য, জ্বালানি বা ওষুধ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সাহায্য সংস্থাগুলো গাজার ২১ লাখ জনসংখ্যা জন্য দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খাদ্য সংকট যাতে তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য গাজার জনসংখ্যার জন্য প্রাথমিকভাবে খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইসরায়েল মানবিক সহায়তা বিতরণের নিয়ন্ত্রণ নেবে। হামাসের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে না।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রবিবার গাজা উপত্যকায় তাদের সম্প্রসারিত অভিযানের অংশ হিসেবে ‘ব্যাপক স্থল অভিযান’ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। একই সময়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে উদ্ধারকর্মীরা ইসরায়েলি হামলায় বহু মানুষের মৃত্যুর খবর দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় ‘লড়াই বন্ধে’ হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তি করার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই ঘোষণা আসে। সেনাবাহিনী জানায়, গত এক দিনে তাদের বাহিনী ‘উত্তর ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকাজুড়ে ব্যাপক স্থল অভিযান শুরু করেছে’, যেখানে তারা ‘ডজনখানেক সন্ত্রাসীকে নির্মূল করেছে, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করেছে...এবং গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানগুলোতে (সেনা) মোতায়েন রয়েছে’।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর, পাশাপাশি গাজার উত্তরের শহরগুলিতে, বেইত লাহিয়া এবং জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরসহ সব স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় গাজায় কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত এবং ৩৬১ জন আহত হয়েছেন।
খান ইউনিসের একজন নারী বলেছেন, সেখানকার পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং বোমার শব্দে তারা জেগে ছিল। একই সঙ্গে ময়দা, গ্যাস এবং খাবারের তীব্র ঘাটতি সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়েছে।রবিবার শুরু হওয়া অভিযানকে চূড়ান্ত সতর্কতা হিসেবে বর্ণনা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
সূত্র : বিবিসি
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স