ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করা হবে: আইন উপদেষ্টা
আপলোড সময় :
১০-০৫-২০২৫ ০৭:০৯:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১০-০৫-২০২৫ ০৭:০৯:২৫ অপরাহ্ন
যারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো ঘৃণ্য অপরাধ করেছে, তারা যে এই জাতি থেকে বিচ্ছিন্ন ও মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন, সেটাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫ (দ্বিতীয় খসড়া) এর ওপর মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ট্রুথ জাস্টিস কমিশন অথবা ট্রুথ রিকনসিলিয়েশন কমিশনের খুব দরকার আছে। এটা সম্ভবত আমাদের দেশে ১৯৭২ সাল থেকে থাকলেই ভালো হতো। আমরা সবকিছুই খুব প্রফেশনালভাবে নিষ্পত্তি করতে চাই। আমরা এই আইনটা করে যেতে চাই, তার কারণ হলো আমাদের পরে যারা আসবে তারা এ আইনটা করবে কি না, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত না। আমরা এই আইন ও কমিশনকে শক্তিশালী করতে চাই।
কারণ আমরা নিশ্চিত না পরবর্তী সরকার এই গুম কমিশন ও আইন শক্তিশালী করবে কি না। কাজেই আমরা এই কাজগুলো করে যেতে চাই। আমরা ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করব। এ লক্ষ্যে তিনি এবং প্রধান বিচারপতি টিম নিয়ে সাউথ আফ্রিকাতে যাচ্ছেন।
অনন্তকাল হানাহানি করে এ জাতির মুক্তি হবে না মন্তব্য করে আইন উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। যারা গণহত্যার মতো, মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো ঘৃণ্য অপরাধ করেছে, তারা খুব বেশিসংখ্যক না। তাদের উপযুক্ত, যথেষ্ট পরিমাণ শাস্তির ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে। তারা যে এ জাতির মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন, সেটাকে এস্টাবলিশ করার জন্য হলেও আমাদের ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করতে হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, যারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের উপযুক্ত বিচার করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তারা বদ্ধপরিকর। একই সাথে তারা এই ধরনের আইন করে যাবেন, যাতে এই অপরাধগুলো ভবিষ্যতে না হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স